ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইনি ভিত্তি পেলো শিশু হাসপাতাল

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আইনি ভিত্তি পেলো শিশু হাসপাতাল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৭ সালে শের-ই-বাংলা নগরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন ও সীমিতভাবে দরিদ্র রোগাক্রান্ত শিশুদের জন্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে শিশুদের সার্বিক চিকিৎসার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল কোনো আইনগত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল অধ্যাদেশ ২০০৮' গেজেট আকারে প্রকাশ করে। নবম জাতীয় সংসদের বিশেষ কমিটির সুপারিশের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জারি করা ১২২টি অধ্যাদেশের মধ্যে ৫৪টি অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়। অননুমোদিত ৬৮টি অধ্যাদেশের মধ্যে ঢাকা শিশু হাসপাতাল অধ্যাদেশ ছিল একটি। ঢাকা শিশু হাসপাতালের কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের বিধান সম্বলিত কোনো স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন বা অধ্যাদেশ নেই। হাসপাতালটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উক্ত অধ্যাদেশের আলোকে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন করা সমীচীন। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে ২১টি ধারা সম্বলিত ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউটের সুষ্ঠু পরিচালনা ও প্রশাসন সার্বিকভাবে একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকবে এবং এ লক্ষ্যে সরকার একজন চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্যের ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মনোনীত সদস্যরা তাদের মনোনয়নের তারিখ থেকে তিন বছরের মেয়াদে নিজ পদে বহাল থাকবেন। এ আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিধি প্রণয়ন করতে পারবে। একটি আইনের মাধ্যমে ঢাকা শিশু হাসপাতাল পরিচালিত হলে সর্বস্তরের শিশুদের উন্নত চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে একটি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে হাসপাতালটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে মর্মে আশা করা যায় বলে মনে করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
×