ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ ডাকসুর বঙ্গবন্ধু কর্নার

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ ডাকসুর বঙ্গবন্ধু কর্নার

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবারের অমর একুশে বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বইমেলায় ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু)। বইমেলায় আসা দর্শনার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ধারণা দিতেই এই কর্নার করা হয়েছে বলে জানান ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নজরুল মঞ্চে স্থাপিত এই ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কিত ছবি, বই, দেশি-বিদেশি পত্রিকার সংবাদ স্থান পেয়েছে। এছাড়াও রাখা হয়েছে জাতির পিতার বিভিন্ন উক্তি ও দুর্লভ ছবি। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ, ঐতিহাসিক ছয়দফার ইতিহাস উপস্থাপনের মাধ্যমে সজ্জিত করা হয়েছে পুরো নজরুল মঞ্চ। সোমবার বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় আসা নানা বয়সের দর্শনার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ প্রদর্শনী উপভোগ করছেন। মঞ্চ ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের তথ্য, বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ ছবিগুলো দেখছেন। সেখানে দাড়িয়ে ছবিও তুলছেন অনেক দর্শনার্থী। বইমেলায় ডাকসুর অনন্য এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহজাবিন এলিন বলেন, বাংলা একাডেমির গেইট দিয়ে ঢুকেই নজরুল মঞ্চে বঙ্গবন্ধু কর্নার চোখে পড়েছে। পুরোটো ঘুরে দেখলাম। মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাই ডাকসু অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের প্রাক্কালে অমর একুশে বইমেলায় ডাকসুর পক্ষ থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নজরুল মঞ্চে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। বইমেলায় প্রথমবারের মতো এ আয়োজন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এখানে বঙ্গবন্ধুর সব ধরনের দুর্লভ ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুরুতে শুধু শুক্র-শনিবার এবং বিশেষ দিনগুলোতে এই আয়োজন সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন নিয়মিত উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এখানে সকল বয়সী দর্শনার্থীদের আগমনের ফলে এই উদ্যোগ এবারের বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন লেখকের প্রায় ৬০টি বই প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা রক্তের দামে কেনা এই বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। দর্শনার্থীদের আমরা বার্তা দিতে চেয়েছি যে, বঙ্গবন্ধু শুধু রেডিও বা বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই নয়, বাঙালির সমগ্র স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
×