নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ায় অষ্টম শ্রেণীর মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী উপর্যুপরি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের এ ঘটনায় ধর্ষক ও সহায়তাকারীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়। এরা হলো, ধর্ষক স্বাধীন (৪৫) এবং সহায়তাকারী জনৈক মন্টু (৪০) ও তার স্ত্রী বেদেনা বেগম (৩৫)। এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৭, তাং- ১৬/২/২০২০। এদিকে সোমবার কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
পুলিশ জানায়, জেলার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের স্বাধীন (৪৫) নামের ওই ব্যক্তি মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে প্রেমের অভিনয়ে ফুঁসলিয়ে কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে ওই বাড়িতে আটক রেখে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে ধর্ষণ ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হলে পারিবারিক সিদ্ধান্তে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাহিনীপাড়া থেকে ধর্ষক স্বাধীন এবং সহয়তাকারী মন্টু ও তার স্ত্রী বেদেনাকে থানাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাদেরকে আদালতের সোপর্দ করলে আদালাত গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে পাঠিনোর নির্দেশ দেন। এদিকে সোমবার কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। ডাক্তার জেসমিন আক্তার ও তানজিমা সিদ্দীকী ভিকটিমের স্বাস্থ্য ও ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করেন বলে আরএমও ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই লিপন জানান, থানায় মামলা রেকর্ড হওয়ায় পর পরই অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এঘটনায় পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: