ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে হল পরিদর্শকের হার্ডবোর্ডের আঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মাদারীপুরে হল পরিদর্শকের হার্ডবোর্ডের আঘাতে  এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে হল পরিদর্শকের হার্ডবোর্ডের আঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাদারীপুরে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, সকাল পৌন ১০টার দিকে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাকিং বিষয় শিক্ষার্থী রাকিবুল মৃধাসহ অন্যরাও পরীক্ষায় অংশ নিতে কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় রাকিবুল মৃধা উত্তরপত্র সম্পন্ন না করার অভিযোগে ওই কক্ষের পরিদর্শক আবুল হোসেন তার উপর রাগ হয়ে শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত হার্ডবোর্ড তার দিকে ছুড়ে মারে। এতে শিক্ষার্থীর মাথা কেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। পরে অন্য শিক্ষকরা এসে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মো. হুমায়ন কবির তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেনকে সকল প্রকার পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেন। আহত শিক্ষার্থী স্থানীয় সরকারি ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাথী এবং শহরের পূর্ব রাস্তি এলাকার জব্বার মৃধার ছেলে। অভিযুক্ত পরিদর্শক আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের খন্ডকালিন ইংরেজী শিক্ষক। এ সময় পরীক্ষা কক্ষে হট্টগোল শুরু হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে পরিবেশ শান্ত করেন। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হয়। আহত পরীক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়ে প্রায় আধ ঘন্টা পরে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীর অভিভাবক, সহপাঠিরা ও স্থানীয়রা ক্ষেভে উঠে। তারা ঐ শিক্ষকের শাস্তির দাবী জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি ইচ্ছে করে ওই শিক্ষার্থীকে হার্ডবোর্ড নিক্ষেপ করিনি। ওই ছাত্রকে বার বার বলার পরেও উত্তরপত্রের ওয়েমার ঠিক করছিল না। পরে তার হার্ডবোর্ড রাগ হয়ে ছুড়ে মারলে কিছুটা কেটে যায়। এজন্যে আমি আত্মরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’ কেন্দ্র সচিব মো. হুমায়ন কবির বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষককে সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। তিনি আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খন্ডকালিন ইংরেজী শিক্ষক। তাকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।’ মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ‘ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে পরীক্ষার সব ধরণের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
×