ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আর ২৮ দিন

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 আর ২৮ দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষা করে আছে গোটা জাতি। আর মাত্র ২৮ দিনের অপেক্ষা। সময় যত গড়াচ্ছে ততই সামনে আসছে নানা কর্মসূচী ও পরিকল্পনার খবর। পাশাপাশি চলছে প্রাক আয়োজন। এ ক্ষেত্রে ভাল উদাহরণ হতে পারে বাংলা একাডেমি। একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। মেলার প্রতিদিনই থাকছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইয়ের ওপর বিশেষ আলোচনা। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও বাংলা একাডেমি’ শীর্ষক বইয়ের ওপর আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক শাহিদা খাতুন। বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন কবি শিহাব সরকার এবং গবেষক ড. ইসরাইল খান। লেখকের বক্তব্য প্রদান করেন পিয়াস মজিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। প্রাবন্ধিক বলেন, ভাষা শহীদের স্মৃতি বিজড়িত এই মাসে বাংলা একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলা একাডেমি শীর্ষক বইয়ের যে আলোচনা তা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বইটির লেখক পিয়াস মজিদ গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করেছেন। বহু উৎস থেকে পুরনো বই-পুস্তক, পত্র-পত্রিকা, নথিপত্র প্রভৃতি ঘেঁটে অনেকের দৃষ্টির আগোচরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইতিহাসের মূল্যবান অনেক তথ্য সংগ্রহ ও একত্রিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, বাংলা একাডেমি- বইয়ে মুদ্রিত শিরোনামের তিনটি শব্দ অবিচ্ছেদ্য। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালী জাতির জীবনে গৌরবোজ্জ্বল একটি অধ্যায়। এই অধ্যায়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু; আর বাংলা একাডেমি মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিভূমি, বাঙালী জাতীয়তাবাদের চেতনার ভ্রুণকেন্দ্র। তিনি বলেন, ষাটের দশক থেকে স্বাধীনতা অব্যবহিত পরবর্তী সময় পর্যন্ত বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও বাঙালী সংস্কৃতির মূল কেন্দ্র ছিল বাংলা একাডেমি। সে দিনের বাংলা একাডেমি তার কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে মানুষের জাতীয়তাবাদী মানসের ধারা বিকশিত করতে পেরেছিল। একাডেমির সেই ইতিহাস এই বইয়ের মধ্য দিয়ে আরও উজ্জ্বলতর হয়ে উঠেছে। অন্য আলোচকরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। তাই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সূতিকাগার বাংলা একাডেমির সঙ্গেও তাঁর সম্পর্কটা অতীব নিবিড়। অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক, তথ্যসমৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও বাংলা একাডেমি গ্রন্থটিতে লেখক পিয়াস মজিদ মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে বাংলা একাডেমির ভূমিকা এবং বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলা একাডেমির সম্পর্কটি একজন গবেষকের দৃষ্টিকোণ থেকে দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। যারা বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন তাদের কাছে এ গ্রন্থটি সমাদৃত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। সভাপতির বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও বাংলা একাডেমি’ মূলত বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ সর্বোপরি মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক চেতনাকে ধারণ করে রচিত। সাংস্কৃতিক চেতনা দিয়েও যে সংগ্রাম করা যায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। ভাষা আন্দোলনের পর থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে বাংলা একাডেমির দীর্ঘ অভিযাত্রার ইতিহাস ও অর্জন নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ গ্রন্থ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
×