ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবীণ রাজনীতিক এ্যাডভোকেট রহমত আলী আর নেই

প্রকাশিত: ১০:৫১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

   প্রবীণ রাজনীতিক এ্যাডভোকেট রহমত আলী আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ্যাডভোকেট মোঃ রহমত আলী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রবিবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য মন্ত্রীও শোক প্রকাশ করেছেন। এ্যাডভোকেট মোঃ রহমত আলী দীর্ঘদিন যাবত কিডনি, ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যাসহ বার্ধ্যক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতে তিনি দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সিনিয়র সদস্য ছিলেন। এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, এ্যাডভোকেট রহমত আলী ছিলেন একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান। তিনি আজীবন মেহনতী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করে গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হলো। রাষ্ট্রপতি এই আওয়ামী লীগ নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এ্যাডভোকেট রহমত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক বিবৃতিতে তিনি রহমত আলীর আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। সাবেক এমপি রহমত আলীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিবৃতিতে তিনি রহমত আলীর আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। রহমত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এক বিবৃতিতে তিনি এ শোক প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে স্পীকার বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক রহমত আলী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারাল। স্পীকার মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়া গভীর শোক ও দুঃক্ষ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। রহমত আলীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ অন্যান্য মন্ত্রী, এমপিরাও। প্রয়াত রহমত আলীর কফিনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকারের শ্রদ্ধা এ্যাডভোকেট রহমত আলীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ স্পীকার, সংসদ সদস্য, দলীয় নেতাকর্মী ও সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট রহমত আলীর কফিনে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক এই সাংসদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর মরহুমের প্রতি সম্মান জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে আরেকটি শ্রদ্ধাঞ্জলি মরহুমের কফিনে অর্পণ করেন। তিনি মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পাশাপাশি জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়াসহ চীফ হইপ এবং হুইপবৃন্দ কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে জাতীয় পার্টির হুইপ পীর ফজলুর রহমানও শ্রদ্ধা জানান। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, ডেপুটি স্পীকার, চীফ হুইপ ও হুইপবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতও অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীকে এ সময় গার্ড অব অনারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। গাজীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ্যাডভোকেট মোঃ রহমত আলী ১৯৪৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আছর আলী ও মাতা শুক্কুরজান বিবি। সংসার জীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ্যাডভোকেট মোঃ রহমত আলী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১১বছর বয়সে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হোন। ১৯৬২ সালের ১৭ এপ্রিল শ্রীপুর হাই স্কুল মাঠে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে গ্রেফতার হন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়ে তিনি ৩ মাস কারাভোগ করেন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় মিছিলে নেতৃত্ব দেন এবং গ্রেফতার হন। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের পক্ষে প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে মি. বুশ ও জি এম চ্যার্টাজীর সঙ্গে সমন্ব্য় করে ফ্লাইট কুরিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল ১৯ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগের নবগঠিত কমিটিতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের পদ লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শতাধিক বস্তিবাসী পরিবারকে দিনাজপুরে পুনর্বাসিত করেন। ১৯৭৪ সালে কৃষকলীগের সাধারণন সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক পদ লাভ করেন। ১৯৭৬ সালের ১০ জুলাই মতিঝিলের কমার্শিয়াল কো-অপারেটিভ ব্যাংক থেকে গ্রেফতার হন এবং প্রায় ৩ বছর কারাভোগ করেন। ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে নির্যাতন করে তার ১৭ টি দাঁত ভেঙ্গে দেয়া হয়। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগের সভাপতির পদ লাভ করেন। ১৯৯০ সালের ২৯ নবেম্বর সরকারবিরোধী আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের হাতে গ্রেফতার হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকেটে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে (গাজীপুর-৩, শ্রীপুর-কালিয়াকৈর-১৯৬) সংসদীয় আসন থেকে বিপুল ভোটে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিশেষ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সহসম্পাদক ও তার জুনিয়র এ্যাডভোকেট হারুন-অর রশীদ ফরিদ জানান, রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মহান এ মানুষটি জীবনের সব কিছু উজার করে সততা, আন্তরিকতা, দেশপ্রেমের মাধ্যমে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে কর্মী তৈরি করে গেছেন। নিরহঙ্কারী, শিক্ষানুরাগী, আদর্শ রাজনীতিবিদ ও সকলের পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিটি আমৃত্যু এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ব্যয় করেছেন। তিনি জানান, বাদ জোহর ধানমন্ডির শংকর জামে মসজিদে, বাদ আছর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, বাদ এশা রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে বায়তুল মামুর জামে মসজিদে, আজ সোমবার দুপুর ১ টায় বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে এবং মঙ্গলবার তার নিজ এলাকা গাজীপুরের শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। আল্লাহ যেন মরহুমকে বেহেশতের সর্বোচ্চ মোকাম দান করেন। তিনি গাজীপুরবাসীসহ দেশবাসীর কাছে এই দোয়া চেয়েছেন। রহমত আলী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের (১৯৯৬ সালে) একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রবক্তা। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রহমত আলীর মেয়ে অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসী একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি মেয়র আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও (গাজীপুর-৩, শ্রীপুর-কাউলতিয়া, মির্জাপুর) সংসদীয় আসনের এমপি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকসহ শ্রীপুরের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
×