ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা মারার ওষুধ যথেষ্ট মজুত আছে ॥ তাজুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা মারার ওষুধ যথেষ্ট মজুত আছে ॥ তাজুল ইসলাম

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি ডেঙ্গু জ্বর যখন প্রায় মহামারি আকার ধারণ করেছিল তখন ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী মশা মারার ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি ওষুধ আমদানি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে আগামীতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা মারার ওষুধের মজুত যথেষ্ট আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ রবিবার সচিবালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি-সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। মশা মারার ওষুধ যথেষ্ট মজুত আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মজুত আছে এবং আমাদের এখানে কিছু কিছু তৈরিও হয়। আমাদের ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। তবে সমস্যা হচ্ছে, অনেক সময় এক বছরের ওষুধে পরের খুব একটা কাজ হয় না। তবে এ বিষয়টি আমরা সারাক্ষণই ফলোআপ করছি।’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সব জায়গাতে মশা আছে, বাংলাদেশেও আছে। তবে আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি, সারাক্ষণই ফলোআপ করছি।’ এ মৌসুমে মশার উপদ্রব বেড়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে গতবারের একটা প্রভাব রয়েছে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবী থেকে মশা নিশেষ হয়ে যায়নি। পৃথিবীর সব জায়গাতে মশা আছে, বাংলাদেশেও আছে। তবে আমার তো মনে হয় যেন আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি। আমরা সারাক্ষণই ফলোআপ করছি এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য এবং এজন্য কাজ করা হচ্ছে।’ চীনের উদাহরণ টেনে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানকার মানুষ হাল ছেড়ে দেয়নি। তারাও চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবিলা করছে।’ গতবারের যে আতঙ্ক ছিল এবারে সে আতঙ্ক থাকবে কি না-এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আতঙ্ক আমার মনে হয় ওইরকম মাত্রায় যায়নি। আমরা সব সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সব প্রতিষ্ঠান, ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট করা এবং ভেক্টর বর্ণ ডিজিসে বাংলাদেশে গতবারের মতো যে অভিজ্ঞতা আছে তার আলোকে আরও বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তথ্য দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে এ বছর ভেক্টর বর্ণ ডিজিসে সাত লাখ লোক মারা গেছে, আমাদের অফিসিয়াল রিপোর্ট হলো ৪৩ জন (ডেঙ্গু)। পৃথিবীর যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ সেগুলো আমাদের জন্যও আছে। আমরাও সতর্ক আছি এবং কাজ করছি। আমাদের যতটুকু সুযোগ আছে সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাজ করছি।’ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীতে এই ইনভাইরনমেন্টে ১০ মিলিয়ন ইনসেক্ট (কীটপতঙ্গ) আছে। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আপনারা যখন ওষুধের কথা বলেন অথবা ইনসেক্টিসাইড বলেন যখন স্প্রে করা হয়, তখন এমন পেস্টিসাইড স্প্রে করা যাবে না যেখানে ১০ মিলিয়নের মধ্যে কিছু সংখ্যক আছে ক্ষতিকর বাকি উপকারী সব যদি মরে যায়। তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অনুমোদন ছাড়া এসব পেস্টিসাইড বাতাসে স্প্রে করা নিয়ে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। আমরা খারাপটাকে মেরে ফেলব, ভালোটাকে টিকিয়ে রাখব। এ রকম একটা সঙ্কটাপন্ন অবস্থার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্মকর্তারা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে ইতোমধ্যে…এখনও তো মশার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি, বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু এর মধ্যে আমরা ৫-৬টা মিটিং করে ফেলেছি এবং উই আর ওয়ার্কিং। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা সবার সঙ্গে রেগুলার কো-অর্ডিনেশন ও কো-অপারেশন আছে।’
×