ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার দাবি শান্তি পরিষদের

প্রকাশিত: ১০:০৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে  নেয়ার দাবি  শান্তি পরিষদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সসম্মানে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ। শনিবার সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের মধ্য দিয়ে নিরীহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পরিচালিত গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বিশ্ববাসীর নজরে এসেছে। কিন্তু এই অপরাধের উপযুক্ত বিচার এখনও হয়নি। প্রাণভয়ে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আজ বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী আজ বাংলাদেশের ওপর বিরাট অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে। যা বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। এর ফলে দেশের ওপর এক বিরাট নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সসম্মানে দ্রুত তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতও তাদের সাম্প্রতিক রায়ে মিয়ানমার সরকারকে বলেছে, তারা যেন ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেখানে আর কোন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত না করে। নেতৃবৃন্দ এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের মতো ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণও আজ হত্যা এবং নির্যাতনের শিকার। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার নামে আবার নতুন করে ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি জটিল করে তোলা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ ও জায়নবাদী অপশক্তি কার্যত এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে দিতে চাইছে। বাংলাদেশের শান্তিকামী জনগণ এই চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনের বীর জনতার ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি আবারও সংহতি জ্ঞাপন করছে। একই সঙ্গে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি আবারও আনুষ্ঠানিক সমর্থন এবং সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান। কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু। মানববন্ধনে শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
×