ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস পালিত

শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র জরুরী

প্রকাশিত: ১০:০৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র জরুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত চেকআপ করানোর আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে শনিবার পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কর্মসূচী পালনকালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেন, দেশে শিশু ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র অপ্রতুল। শিশু ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য একটা বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জরুরী হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজার নতুন শিশু ক্যান্সার রোগী যোগ হচ্ছে। ক্যান্সার চিকিৎসায় বর্তমান বিশ্বে এক মাইলফলক বাংলাদেশ। দেশেই এখন ক্যান্সারের চিকিৎসা হচ্ছে এবং প্রথম দিকে ক্যান্সার নির্ণয় করা গেলে নিরাময় সম্ভব বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস ২০২০। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল চত্বরে র‌্যালি বের করা হয়। পরে হাসপাতাল অডিটরিয়ামে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শাহানা আক্তার রহমান। অনুষ্ঠানে ৭০ জন ক্যান্সার জয়ী শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, গান, গজল, হামদ-নাত ও নৃত্য পরিবেশন করে শিশুরা। পরে ক্যান্সার জয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময়, আক্রান্তদের কয়েকজন তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মিজানুর রহমান, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক আহমেদ মুরতুজা চৌধুরী, অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, আধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, সহযোগী অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসায় বর্তমান বিশ্বে এক মাইলফলক বাংলাদেশ। বাংলাদেশেই এখন ক্যান্সারের চিকিৎসা হচ্ছে এবং প্রথম দিকে ক্যান্সার নির্ণয় করা গেলে নিরাময় সম্ভব। একটি শিশু যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তখন তাদের বাবা মায়ের সব সাজানো স্বপ্নগুলো যেন তছনছ হয়ে যায়। চলে হাসপাতাল আর ডাক্তারের কাছে ছুটাছুটি। রোগীর পরিবার হয়ে পড়ে নিঃস্ব। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের তথ্যানুযায়ী ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার বিভাগ স্থাপিত হয়। এ পর্যন্ত অনেক ক্যান্সার রোগী চিকিৎসা নিয়ে আরোগ্য লাভ করেছেন। ২০১৮ সালে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৮ হাজার এবং আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৯০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। ঢাকা মেডিক্যালে বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস পালিত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু রক্তরোগ ও ক্যান্সার বিভাগ প্রতিবছরের ন্যায় শনিবার এ দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে । এবারের দিবসটি মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠান হিসেবে উৎসর্গ করা হয়েছে। দিনের শুরুতেই বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয় মেডিক্যাল কলেজ চত্বর থেকে। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিকুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক সাঈদা আনোয়ার এবং অধ্যাপক এ কে এম আমিরুল মোরশেদ খসরু। শিশু ক্যান্সার রোগী এবং সারভাইবারদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ক্যান্সার জয়ী শিশুদের অভিভাবকগণ তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। জাদুকর উলফত কবীর তার জাদু দিয়ে এসব শিশুর মনোরঞ্জন করেন।
×