ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বেশিরভাগ দাবানল নিভেছে

ভারি বৃষ্টিপাত যেভাবে নেভালো নিউ সাউথ ওয়েলসের দাবানল

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  ভারি বৃষ্টিপাত যেভাবে নেভালো নিউ সাউথ ওয়েলসের দাবানল

গত জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসজুড়ে দাবানলের আগুন জ্বলছে। মাঝে মাঝে একই সময় শত শত দাবানল জ্বলেছে। এটিই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য। রাজ্যটির দীর্ঘ দাবানল মৌসুমে দমকলকর্মীরা প্রতিদিন বিশাল বিশাল দাবানল নেভাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। কয়েক বছরের খরা ও রেকর্ড তাপমাত্রায় সৃষ্ট খারাপ অবস্থার কারণে ৫০ লাখ হেক্টরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়াজুড়ে বেশ কিছু লোক মারা গেছে। তবে গত সপ্তায় নিউ সাউথ ওয়েলসে ভারি বর্ষণের কারণে অবশেষে ঘটনাগুলোতে পরিবর্তন এসেছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যা দেখা দেয় ও পরিবহন ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কোন কোন স্থানে ৪শ’ মিলিমিটারেরও (১৫.৭ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টিপাত অনেক দাবানল নিভিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষগুলো আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করেছে যে, প্রত্যেকটি দাবানল নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিছু এলকায় আগুন জ্বলছে। তবে আগুনের পরিধি আয়ত্তে এসেছে, কিন্তু স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করা যাবে না। উপকূলের দাবানল এলাকাগুলোতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে, যেটা খুব প্রয়োজন ছিল। এর মধ্যে অনেক এলাকায় ৩শ’ মিলিমিটারের উপরে বৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে রাজ্যটির দক্ষিণের নওরা শহরের কথা বলা যায়। সেখানে জানুয়ারিতে ফের ভয়ঙ্কর দাবানল আবির্ভূত হয়েছিল। কেউ কেউ এই বৃষ্টিপাতকে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ গ্রীষ্মের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাত অনেক কম হওয়ার কথা বলা হয়। রাজ্যজুড়ে তিন বছর ধরে তীব্র খরায় পরিবেশ ও গাছপালা শুষ্ক হয়ে উঠেছিল। যার ফলে আগুন এক জায়গা থেকে ছড়িয়ে নতুন নতুন জায়গায় লাগা সহজ হয়ে যায়। এর আগেও কিছু বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে ওই বিচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাত কার্যকরভাবে আগুন নেভাতে এবং পুনরায় আগুন জ্বলে উঠার ঝুঁকি কমাতে পারেনি। রুরাল ফায়ার সার্ভিসের (আরএফএস) কর্মকর্তা সইমন হেমেসট্রা বলেন, এমনকি যখন ৩০ বা ৫০ মিলিলিটার বৃষ্টি হয়েছিল, এটা যথেষ্ট ছিল না। তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত যদি ২০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়, আপনি খুশি হবেন যে, এর ফলে অনেক দাবানল নিস্তেজ হচ্ছে বা নিভে যাচ্ছে। ৫০ মিলিলিটার বৃষ্টি হলেও সবকিছু শুষ্ক হওয়ার কারণে ওই বৃষ্টিপাত খুব তাড়াতাড়ি শোষিত হবে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই ওইসব গাছপালা আবার শুকিয়ে যায় এবং আবার জ্বলতে শুরু করে।’ আরএফএসের জল-বিমান ছোট ছোট দেশের মতো বিশাল আকারের দাবানলের ওপর সামান্যই প্রভাব ফেলতে পেরেছে। অন্তত দুটি দাবানল ৫ লাখ হেক্টরেরও বেশি জায়গা পুড়িয়ে দিয়েছে। -বিবিসি
×