ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ভালবাসার দিন

প্রকাশিত: ১২:৩২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আজ ভালবাসার দিন

একটি দিনকে কেন্দ্র করে যেন উৎফুল্ল সবাই। আর হবেই বা না কেন? এ যেন প্রাণের আবেগের একটি দিন। এ দিনটিতে প্রিয়জনের প্রতি শ্রদ্ধা- ভালবাসা জ্ঞাপনের। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস। ভালবাসার শব্দগুলোই যেন এমন। আপন গতিতে সে এঁকে চলে জীবনরেখা। একটা সময় ছিল যখন ভালবাসা প্রকাশে যেমন ইতস্ততা ছিল ঠিক তেমনি সামাজিকভাবে ব্যাপারটি এড়িয়ে চলাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে মনের কথা বলতে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা দ্বিধাবোধ করে না। ব্যাপারটা এমন, অন্য সব কিছুকে পিছু হটিয়ে ভালবাসার পেছনে ছুটতে প্রস্তুত। আর এ ব্যকুলতা থেকেই বোধ হয় ভালবাসা দিবসের উৎপত্তি। যা আমাদের দেশে রীতিমতো উৎসবে পরিণত হয়েছে। ভালবাসা দিবস যদিও আমাদের নিজস্ব কোন উৎসব নয়, তারপরেও আড়ম্বরপূর্ণভাবেই পালিত হয় দিবসটি। ভালবাসার নির্দিষ্ট কোন সীমা-পরিসীমা নেই। নেই কোন বয়সের ভেদাভেদ। ভালবাসার এ উন্মাদনায় পিছিয়ে নেই ফ্যাশন হাউসগুলো। তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো ভালবাসা দিবসে বাজারে এনেছে নজড়কাড়া সব পোশাক। কারণ ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে উপহার আদান প্রদান এক ধরনের রীতিতে পরিনত হয়েছে। সে সুবাদেই ফ্যাশন হাউসগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। পছন্দসই পোশাকটি পরে এদিনে একসঙ্গে ঘুরতে বের হবার আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হতেই এ প্রয়াস। বসন্তের পোশাক এবং ভালবাসার পোশাক শোভা পাচ্ছে পাশাপাশি। ভালবাসা দিবসের পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে আবহাওয়া। যে কারনে কাপড় হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে কটন, এন্ডি কটন, জয়সিল্ক প্রাধান্য পেয়েছে। শাড়ির সঙ্গে কোয়র্টার এবং ফুলসিøভ ব্লাউজ সংযুক্ত হয়েছে। আবার ম্যাচ করা যুগল ড্রেসও রয়েছে। অর্থাৎ একই ডিজাইনে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের পোশাক তৈরি হয়েছে। যা ভালবাসা দিবসে অন্যরকম আবহ সৃষ্টি করেছে। ভালবাসা দিবসের পোশাকগুলোর মধ্যে শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, সালোয়ার কামিজ, শর্ট পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, টপস্ ইত্যাদি। পোশাকের পাশাপাশি ম্যাচ করা বিভিন্ন অর্নমেন্টসও পাওয়া যাবে আউটলেটগুলোতে। ভ্যালেন্টাইনের শাড়ি পাওয়া যাবে ৯৫০ টাকা থেকে ২৫৫০ টাকা। সালোয়ার কামিজের মূল্য পড়বে ৮৫০ টাকা থেকে ৩২০০ টাকা। ফতুয়া, শর্ট পাঞ্জাবির মূল্য ৬৫০ টাকা থেকে ১৮৫০ টাকা। টি-শার্ট ২০০ থেকে ৬৫০ টাকা। এছাড়াও ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালবাসা দিবসে বিভিন্ন গিফট আইটেমেরও চাহিদা অনেক। এর মধ্যে ফূল, শো পিছ, মানিব্যাগ, ব্রেসলেট, ঘড়ি, কার্ড অন্যতম। একটা সময় ছিল ফাল্গুনী মেলায় দলবেঁধে পরিবারের সবাই বেড়াতে যেত। তখন অবশ্য নির্দিষ্ট কোন রং-ডিজাইনের বালাই ছিল না। বর্তমানে এর ছোঁয়া শহরের জীবনেও লেগেছে। তবে প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। পহেলা ফাল্গুনের দুপুর গড়িয়ে বিকেল আসতেই আপজনদের নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়ে পড়া। পরন্ত বিকেল কিংবা গোধূলীলগ্ন কোন কিছুই যেন মনে থাকে না। যতটুকু সময় একান্ত মনে উৎসবের আমেজে কাটিয়ে নেয়া যায় ততটুকুই প্রাপ্তি। আর এ প্রাপ্তিটুকুই প্রেরণা জোগায় কর্মচাঞ্চল্যের। এ উৎসবে বড় একটি আকর্ষণ হচ্ছে পোশাক। বাসন্তী রংকে প্রাধান্য দিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে পহেলা ফাল্গুনের পোশাক। এ নিয়ে ফ্যাশন হাউসগুলোর তৎপরতা অবশ্য চোখে পড়ার মতো।
×