ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও অনিশ্চিত নেইমার

হাফডজন গোলে সেমিতে পিএসজি

প্রকাশিত: ১২:০১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

হাফডজন গোলে সেমিতে পিএসজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রতিপক্ষের জালে গুনে গুনে ছয় গোল দিয়ে ফরাসী কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। বুধবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক ডিজনকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে প্যারিসের পরাশক্তিরা। পিএসজির জয় সহজ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষই। ম্যাচের বয়স এক মিনিট পার হওয়ার আগেই তারা আত্মঘাতী গোল উপহার দেয়। এরপর দ্রুত সমতায় ফিরলেও দ্বিতীয়ার্ধের ধাক্কায় আর টিকতে পারেনি। ডিজনের হতাশা আরও বেড়েছে শেষ গোলটাও আত্মঘাতী খেয়ে। অর্থাৎ পিএসজিকে তারা প্রথম ও শেষ গোলটা ‘উপহার’ দিয়েছে। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে জুসেম অয়ারের একমাত্র গোলে মার্শেইকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিঁও। ম্যাচের ৮১ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন অয়ার। এর আগে ম্যাচের ৭০ মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করেন লিঁওর মুসা ডেম্বেলে। মার্শেই গোলরক্ষক ইয়োহান পেলে পেনাল্টি রুখে দিলেও শেষ পর্যন্ত দলের হার আটকাতে পারেননি। ডিজনের মাঠে ম্যাচ শুরুর মাত্র ৪৭ সেকেন্ডে ডিফেন্ডার ওয়েসলি লটোয়ার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় সফরকারী পিএসজি। মিচেল বাক্কারের ক্রস থেকে ওয়েসলি তার নিজের জালে বল জড়ান। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় আত্মঘাতী গোলের সুবিধা ভোগ করেছে পিএসজি। গত সোমবার লীগ ওয়ানের ম্যাচে লিঁওর ফার্নান্ডো মারকালের আত্মঘাতী গোলে বড় জয় পেয়েছিল পিএসজি। ম্যাচর ১৩ মিনিটে মৌনির চৌইয়ার কার্লিং শটে পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করে সমতা ফেরায় ডিজন। এরপর প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত এমবাপে, থিয়াগোদের রুখে দেন স্বাগতিক ডিফেন্ডাররা। কিন্তু ম্যাচের ৪৪ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে গোল করে প্রতিরোধ ভেঙ্গে দেন। ম্যাচের ৫০ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে পিএসজিকে ৩-১ ব্যবধানের লিড এনে দেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। পাঁচ মিনিট পর পাবলো সারাবিয়া চোখ ধাঁধানো গোল করেন। ৮৬ মিনিটে এমবাপের ক্রস থেকে সেনু কোলিবেলির পায়ে লেগে আবারও আত্মঘাতী গোলের লজ্জায় ডুবে ডিজন। ইনজুরি সময়ে (৯১ মিনিট) এমবাপের সেন্টার থেকে সারাবিয়া নিজের দ্বিতীয় গোল করলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি। পূর্ণশক্তির দল ছাড়াই দারুণ জয় পেয়ে খুশি দলটি। ম্যাচে এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও মাউরো ইকার্ডি বেঞ্চে থাকলেও নেইমার দলেই ছিলেন না। তবে কোচ টমাস টাচেল সেরা একাদশে রেখেছিলেন এমবাপে ও এডিনসন কাভানিকে। এই ম্যাচে ২০০তম গোল করার সুযোগ ছিল উরুগুয়েন ফরোয়ার্ড কাভানির। কিন্তু সেই অপেক্ষা বেড়েছে তার। ম্যাচশেষে পিএসজি কোচ টাচেল এ প্রসঙ্গে বলেন, এটা কোন বিষয় নয়। কাভানি হয়তো তার ২০০তম গোলটি শনিবার এমিয়েন্সের বিরুদ্ধে অথবা মঙ্গলবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে পেয়ে যাবে। আমি এটুকুতেই আশ্বস্ত হয়েছি যে সে মাঠে আছে। এই ম্যাচে জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। তাতেই ভাল লাগছে। এদিকে আগামী সপ্তাহে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে নেইমারের খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি মন্টেপিলিয়ারের বিরুদ্ধে লীগ ওয়ানের ম্যাচে পাঁজরের ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা। নেইমার প্রসঙ্গে পিএসজি কোচ বলেন, বরুশিয়ার বিরুদ্ধে নেইমারের খেলা নিয়ে এখনও আমরা শতভাগ নিশ্চিত নই।
×