ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:০৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

উবাচ

ড. কামালের লাথি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিধিরাম নামে এক গ্রামে ছিলেন এক সর্দার । তিনি সব সময় তার ক্ষমতার চাইতে নিজেকে অতিরিক্ত জাহির করতে পছন্দ করতেন। সরল গ্রামবাসী তার কথায় বিশ^াস করে বসেছিলেন। একদিন গ্রামে ডাকাত এলো আর সব কিছু লুটে নিয়ে গেল। এরপর সকলে যখন নিধিরামকে ধরলো তুমি থাকতে কেন এমন হলো সে উল্টো দোষারোপ করে বলল আমার কাছে কি কোন ঢাল-তলোয়ার আছে নাকি যে ডাকাত বধ করব। যদি ঢাল-তলোয়ার থাকত তাহলে দেখিয়ে দিতাম। সেই থেকে প্রবাদের প্রচলন শুরু ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় বিংশ শতাব্দির নিধিরাম সর্দার কে? নিশ্চয়ই সবাই ড. কামালের নামটিই বলবেন। তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা হিসেবে বহিঃপ্রকাশের পর থেকে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন। ভাবখানা এমন যে তিনি যাই বলবেন তাই দেশের সব মানুষকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু কেন? সারা দিনতো তিনিই গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে চিৎকার করছেন। কিন্তু তাঁর নিজের আচরণে কি আদৌ গণতন্ত্রের ছাপ আছে? সম্প্রতি তিনি বলেছেন, সরকার পদত্যাগ না করলে লাথি মেরে নামাতে হবে। উনার পায়ে কি আদৌ সেই জোর আছে, না কোন সরকারকে লাথি মেরে নামানোর মতো জোর ছিল। অতীত বর্তমান সব সময়ের সুবিধাভোগী এই মানুষটি যার আনুকূল্যে ড. কামাল হোসেন হয়ে উঠেছিলেন তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই বছর সারা জাতি মুজিববর্ষ পালন করতে যাচ্ছে। কিন্তু ড. কামাল সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘তারা কী কী প্রচার করছে, অমুক বর্ষ এভাবে উদযাপন করবে। সবাইকে একভাবে উদযাপন করতে হবে’। এই বাক্যের শব্দ চয়নে ড. কামালের ভেতরের মানুষটি প্রকাশিত হয়েছে। খালেদা জিয়াকে আদালত মুক্তি না দেয়াতে তিনি ভিষন ক্ষেপে গেছেন। সেজন্য হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে যা খুশি তাই বলছেন। সারা দিন বলছেন দুর্নীতি আর লুটপাট হচ্ছে। তাহলে এতিমের টাকা মেরে খাওয়া কী দুর্নীতি নয়! নাকি খালেদা জিয়া এটা করতেই পারেন এবং করবেনও। আর বিচার হলে ড. কামাল বলবেন তোকে লাথি মারবো! রাস্তার ভাষা স্টাফ রিপোর্টার ॥ ড. কামাল হোসেনের পায়ের জোরের প্রশংসা করতে পারছেন না কেউ। একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিকের ভাষা ব্যবহার দেখে অন্যরা কথা বলা শিখবেন সেটিই সবার আশা করেন। কিন্তু এখানে ড. কামাল সরকারকে বলেছেন ক্ষমতা না ছাড়লে লাথি মেরে নামাবো। সরকার যদি নেমে যায় ড. কামাল হোসেন কী দেশটা চালাতে পারবেন। যে লোক ভয়ে ভোটেই দাঁড়ায় না সে কি করে দেশ চালাবে! তবে কেউ ড. কামালের দেশ চালানোর যোগ্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলছেন না সকলে আপাতত বলার চেষ্টা করছেন আপনি মুখের ভাষা সংযত করুন। আর কিছু করার দরকার নেই। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ড. কামাল হোসেন বিএনপির সমাবেশে সরকারকে লাথি মেরে উচ্ছেদ করবেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গণতান্ত্রিক ভাষা হতে পারে না এটি রাস্তার ভাষা। তার মতো ব্যক্তি কী করে এমন ভাষায় কথা বলেন? ড. কামাল সীমা ছাড়িয়ে গেছেন বলেও এ সময় তিনি মন্তব্য করেন। মেশিনের মেয়র স্টাফ রিপোর্টার ॥ সদ্য নির্বাচিত ঢাকা সিটির দুই মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা। আচ্ছা তাই যদি হবে তাহলে বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের যারা ভোট দিয়েছে তারাও কি জনগণ না? মানুষ না। ভোটারদের প্রতি বিএনপি সম্মান দেখানোর বদলে যদি অবজ্ঞা ছুড়ে দেন তাহলে এই বিএনপিকে কেন বারবার মানুষ ভোট দেবে? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তার প্রমাণ হলো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে যে দু’জনকে মেয়র বলে ঘোষণা করা হয়েছে তারা মেশিনের মেয়র। আমাদের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন হচ্ছেন জনগণের ভোটের মেয়র।
×