অনলাইন ডেস্ক ॥ মোহাম্মদ হাফিজ ও অবৈধ বোলিং অ্যাকশন- এ দুটি বিষয় যেন একে অপরের পরিপূরক। বারবার কনুই বাঁকিয়ে বোলিং করার অপরাধে নিষিদ্ধ হন হাফিজ, আবার পরীক্ষা দিয়ে নিয়ে আসেন বোলিং করার অনুমতি। ক্যারিয়ারের প্রায় অন্তিম লগ্নে এসেও চলছে ৩৯ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারের লুকোচুরি খেলা।
সবশেষ গতবছরের আগস্টে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ভাইটালিটি ব্লাস্টে খেলতে গিয়ে অবৈধ অ্যাকশনের কারণে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হাফিজ। প্রায় মাসছয়েক পর শুধরানো অ্যাকশনে পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করেছেন তার কনুই বেঁধে দেয়া ১৫ ডিগ্রি সীমার চেয়ে বেশি বাঁকে না। যে কারণে ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছেন হাফিজ।
তার এবারের নিষেধাজ্ঞাটা ছিলো মূলত ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। তবে সব দেশের বোর্ডের পারস্পরিক চুক্তির কারণে, কোনো এক বোর্ড কোনো খেলোয়াড়কে শাস্তি দিলে, সেটি কার্যকর হয় সবধরনের ক্রিকেটেই। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দূরে থাক, নিজ দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও বোলিং করার অনুমতি ছিলো না হাফিজের।
পরীক্ষা দিয়ে পাস করার সময়টা বেশ দারুণই বলতে হয় তার। কেননা দুয়ারে কড়া নাড়ছে পাকিস্তানের ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগ। এ টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই বোলিং করতে পারবেন এ ডানহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
অবৈধ বোলিং অ্যাকশন তথা কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকানো যাবে না- এ নিয়ম ধরে গত ছয় বছর ধরে বেশ কঠোর হয়েছে আইসিসি। তবে হাফিজ এই অপরাধে প্রথমবার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন প্রায় ১৫ বছর, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ম্যাচে। সেবার ফিরে আসতে সময় নেননি তিনি।
এরপর ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি এবং একই বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে আবারও বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে হাফিজের। সেবার পুরো এক বছরের জন্য বোলিং থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। সেবার ২০১৬ সালে বোলিং করার অনুমতি পান হাফিক। আবার ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একই দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হাফিজ। আর সবশেষ গতবছর ভাইটালিটি ব্লাস্টে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনে ধরা পড়েন এ পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: