ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড্র করে আক্ষেপের বিদায় আবাহনীর

প্রকাশিত: ১১:৫১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ড্র করে আক্ষেপের বিদায় আবাহনীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘরের মাঠে হারতে হারতে ড্র করেই আশঙ্কার জন্মটা হয়েছিল। প্রতিপক্ষের মাঠেও (মালে জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম) একই ফল করে সেই আশঙ্কাটা সত্যি প্রমাণ করল আবাহনী লিমিটেড। এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার স্বাগতিক মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস এ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে আক্ষেপ জাগিয়ে আসর থেকে বিদায় নিল আবাহনী। প্রথম লেগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজেদের মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় ২-২ ড্র করেছিল আবাহনী। বুধবার তাদের জন্য সমীকরণটা ছিল এরকম, পরের পর্বে যেতে হলে জয় কিংবা ৩-৩ গোলে ড্র করতে হবে। কিন্তু এ্যাওয়ে মাঠে বেশি গোলের সুবাদে পরের ধাপে নাম লেখালো মালদ্বীপের দলটি। এর আগেও এএফসি কাপেই দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। ২০১৭ সালে সেটি ছিল বাছাইপর্বের খেলা। হোম এ্যান্ড এ্যাওয়ে দুই ম্যাচেই ২-০ গোলে হেরেছিল ঢাকা আবাহনী। ফলে মাজিয়ার বিরুদ্ধে এখনও জয়হীনই হয়ে রইলো আবাহনী। বুধবার খেলার ২৭ মিনিটে আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্টের বাড়ানো বল ধরে সাদ উদ্দিনের নেয়া শট প্রতিহত করেন মাজিয়ার গোলরক্ষক। ৩৫ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্বল শটে হতাশ করেন আবাহনীর এডগার বেনহার্ট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেলফোর্টের বল নিয়ন্ত্রণে নিলেও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি মিডফিল্ডার সোহেল রানা। বল চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ৬০ মিনিটে এডগারের আড়াআড়ি ক্রসে মাজিয়ার গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে বল বেরিয়ে যাওয়ার পর গোলমুখে আবাহনীর দুই ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট ও নাইজিরিয়ান সানডে চিজোবার কেউই পা ছোঁয়াতে পারেননি। ম্যাচে আবাহনীর এটাই ছিল সবচেয়ে ভাল সুযোগ। ৬৩ মিনিটে আবাহনীর অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবনকে তুলে নিয়ে রুবেল মিয়াকে নামান আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ মারিও লেমোস। ৭১ মিনিটে রুবেলের ব্যাকপাস থেকে গোল হজম করতে বসেছিল আবাহনী। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে কোনমতে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। গতবার এই আসরে আবাহনী ইন্টার জোনাল প্লে-অফের সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল। আর এবার তাদের থমকে যেতে হলো শুরুতেই, তাও কোন ম্যাচে না হেরেই। তাই আক্ষেপটা থেকেই যাচ্ছে তাদের।
×