ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

গাইবান্ধায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১২ ফেব্রুয়ারি ॥ পলাশবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গোয়ালপাড়া গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত দায়রা জজ গোলাম ফারুক এ রায় প্রদান করেন। উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গোয়ালপাড়া গ্রামের মমতাজ আলী ওরফে মন্তাজের ছেলে আব্দুর রশিদ ৬ বছর আগে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাটের সাবিনা বেগম ওরফে সাবিনাকে বিয়ে করে। অভাব অনটনের সংসারে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। এরই জের ধরে ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় সাবিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ও বিষপান করায় তার স্বামী। পরে সাবিনার আত্মীয়-স্বজনরা বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পথে সাবিনা মারা যায়। বি.বাড়িয়া স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, বাঞ্ছারামপুরে শুকুর মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে হত্যার ঘটনায় স্বামী - স্ত্রীকে ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ আদেশ প্রদান করেন। নিহত শুকুর মিয়ার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার খাদল গ্রামে। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন, রূপগঞ্জের হেলেনা বেগম ও তার স্বামী আফজাল মিয়া। এ ঘটনায় আফজাল মিয়ার বাবা আমির উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়। বেকসুর খালাস পান সুমন ও ওমর ফারুক। উল্লেখ্য, ৫ লাখ টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার কথা বলে রূপগঞ্জের আমির উদ্দিন শুকুর মিয়াকে বাঞ্ছারামপুরের মরিচাকান্দিতে নিয়ে আসে। পরে ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাঞ্ছারামপুরের মরিচাকান্দি এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে হত্যা করে ফেলে যায়।
×