ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তর সইছে না ক্লাইস্টার্সের

প্রকাশিত: ১২:০৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

তর সইছে না ক্লাইস্টার্সের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমেই আবারও টেনিসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন কিম ক্লাইস্টার্স। দীর্ঘ সাত বছর পর আবারও কোর্টে নামতে যেন তর সইছে না বেলজিয়ান তারকার। এ প্রসঙ্গে নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কোর্টে নামার আগের সময়টাতে আমি খুবই উত্তেজিত। কোর্টে নামতে যেন তর সইছে না আমার। কেননা এই খেলাটাই আমার ভালবাসা। সমর্থকদের সামনে খেলতে দারুণ ভাললাগে আমার।’ দীর্ঘ সাত বছর আগে টেনিস থেকে অবসর নিয়েছিলেন কিম ক্লাইস্টার্স। তিন সন্তান নিয়ে সুখেই সংসার করছিলেন তিনি। সুখের সংসারেও যেন কিছু একটার পিছুটান ঠিকই অনুভব করেন বেলজিয়ামের সাবেক টেনিসকন্যা। টানটা যে টেনিস আর কোর্টের প্রতি সেটা বুঝতে পেরে আর দেরি করলেন না তিনি। গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই জানিয়ে দিলেন, র‌্যাকেট হাতে আবারও কোর্টে নামতে দেখা যাবে তাকে। মূলত পরিবারকে সময় দেয়ার জন্য ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো টেনিসকে বিদায় বলেছিলেন ক্লাইস্টার্স। গত বছর ভিডিও বার্তায় ৩৬ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা ঘোষণা দেন, টেনিসে তার তৃতীয়বারের মতো পথচলা শুরু হচ্ছে। ২০০৫ সালে ইউএস ওপেনে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছিলেন ক্লাইস্টার্স। সংসারে সময় দেয়ার জন্য ২০০৭ সালে টেনিসকে বলে দেন বিদায়। দুই বছর পর আবারও কোর্টে ফেরেন তিনি। সেবার তার শোকেসে ঢোকে দুটি ইউএস ওপেন ও একটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ট্রফি। সেরেনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভাদের মতো তারকাদের পেছনে ফেলে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও দখল করে নেন কিম ক্লাইস্টার্স। ক্যারিয়ারের সেরা সময়টাতে আবারও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় ক্লাইস্টার্সকে। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পরপরই জানিয়ে দেন পরিবারকে উপেক্ষা নয়। যে কারণে টেনিসকে বিদায় বলে দেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক এই নাম্বার ওয়ান। দ্বিতীয় দফায় অবসরের পর স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ভালই চলছিল ক্লাইস্টার্সের সংসার। কিন্তু শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে টেনিস মিশে থাকায় ফেরার ডাকটা আর উপেক্ষা করতে পারলে না। ফিরলেও নির্দিষ্ট কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ইচ্ছে নেই তার। বরং নিজের সঙ্গেই লড়াই করবেন তিনি, ‘আমি শুধু নিজেকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই এবং হতে চাই আরও শক্তিশালী। এটাই আমার জীবনের ম্যারাথন।’ ইচ্ছে ছিল নতুন বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়েই কোর্টে ফেরার। কিন্তু হাঁটুর চোটের জন্য পারেননি। তবে হাঁটুর চোট থেকে এখন পুরোপুরি ফিট তিনি। যে কারণেই আর অপেক্ষা করতে নারাজ তিনি। ক্লাইস্টার্স জানান, ‘এখন হাঁটুর চোট অনেকটাই ঠিক আছে। অনুশীলন করছি। সবকিছু সঠিকভাবেই এগোচ্ছে।’ বয়সটাও যে বাধা নয় সেটাও কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন বেলজিয়ান তারকা। এ ব্যাপারে তার অভিমত, ‘আমি মনে করি, বয়স এখানে কোন বিষয়ই নয়। সত্যি কথা বলতে, টেনিস হলো ফিটনেস আর মানসিকতার খেলা। যে কারণেই আমার দ্বারা অনেক কিছুই সম্ভব।’ ২০০৭ সালে প্রথমবার অবসর নেন কিম ক্লাইস্টার্স। এর পর ২০০৯ সালের আগস্টে অবসর ভেঙ্গে কোর্টে ফিরে আসেন। এর মধ্যেই তার প্রথম সন্তান হয়। দ্বিতীয়বার তিনি অবসর নেন ২০১১ সালে। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে চার গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন মহিলা এককে। তার এই চার গ্র্যান্ডস্লামের তিনটি খেতাবই এসেছে প্রথমবার অবসর ভেঙ্গে ফিরে আসার পর। দ্বিতীয়বার অবসর ভেঙ্গে কোর্টে আসলে কী অপেক্ষা করছে ক্লাইস্টার্সের সামনে? টেনিসপ্রেমীদের অপেক্ষা এখন সেটাই দেখার। এদিকে দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এ্যাশলে বার্টি। অস্ট্রেলিয়ান তারকা নতুন বছরটা শুরু করেছিলেন দাপটের সঙ্গে। অসাধারণ খেলেই মৌসুমের প্রথম মেজর টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ চারে আমেরিকান তারকা সোফিয়া কেনিনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় ডুবেন তিনি।
×