ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্প্যানিশ লা লিগা, ওসাসুনা ১-৪ রিয়াল মাদ্রিদ, রিয়াল বেটিস ২-৩ বার্সিলোনা

পিছিয়ে পড়েও জয় রিয়াল- বার্সিলোনার

প্রকাশিত: ১২:০৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পিছিয়ে পড়েও জয় রিয়াল- বার্সিলোনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে স্প্যানিশ কোপা ডেল রে’র কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে একসঙ্গে বিদায় নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সিলোনা। ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার মিশনে রবিবার রাতে স্প্যানিশ লা লিগায় মাঠে নেমেছিল দুই স্প্যানিশ জায়ান্ট। এখানেও শুরুতে পিছিয়ে পড়ে বেকায়দায় পড়েছিল দল দু’টি। তবে শেষ পর্যন্ত বিপর্যয় কাটিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কোচ জিনেদিন জিদান ও কিকে সেটিয়েনের দল। পিছিয়ে পড়েও এ্যাওয়ে ম্যাচে স্বাগতিক ওসাসুনাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে সফরকারী রিয়াল মাদ্রিদ। আরেক ম্যাচে রিয়াল বেটিস সফরে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে অতিথি বার্সিলোনা। এই ম্যাচে গোল না পেলেও বার্সার তিনটি গোলেই এ্যাসিস্ট করেন দলটির অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আর তাতেই রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। বর্তমানে ২৩টি করে ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৫২। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সিলোনা। বেটিস সফরে প্রথমার্ধে দুই দুইবার পিছিয়ে পড়েও জয় পেয়েছে বার্সা। ম্যাচে নিজে গোল না পেলেও এ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন মেসি। ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং, সার্জিও বসকুয়েটস ও ক্লেমেন্ট লংলেটের তিন গোলই এ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। ক্যারিয়ারে অনেক হ্যাটট্রিক করেছেন বার্সা অধিনায়ক। তবে এবার ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো এ্যাসিস্টের রেকর্ড হ্যাটট্রিক করেছেন মেসি। বার্সা জার্সিতে ২০১৪ সালে কোপা ডেল রে’তে লেভান্তের বিপক্ষে প্রথম এই দৃষ্টান্ত গড়েন মেসি। এরপর ২০১৬ সালে লা লিগায় গেটাফের বিপক্ষে এ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেন। জাতীয় দল আর্জেন্টিনার জার্সিতে ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকায় প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ৬-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে সতীর্থদের দিয়ে তিন গোল করিয়েছিলেন মেসি। লা লিগায় রেকর্ড ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জয়ী ফরোয়ার্ডের পরে কেবল দুইজন তারকা হ্যাটট্রিক এ্যাসিস্ট করেছেন। একজন সেভিয়ার পাবলো সারাবিয়া আর অন্যজন মেসির বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। চলতি মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ লীগের মধ্যে গোল সংখ্যাতেও মেসির ওপরে নেই কেউ। এখন পর্যন্ত ১৪ গোল ও ১১টি এ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ১২ গোল ও ১৩ এ্যাসিস্ট করেছেন বুন্দেসলিগার ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড তারকা জাডোন সানচো। আরেক ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও পরে ওসাসুনাকে নিয়ে খেলেছে রিয়াল। তাদের জয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত। কিন্তু বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করায় তা হয়নি। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে রিয়ালের শুরুটা হয় হতাশার। ম্যাচের ১৪ মিনিটে উনাই গার্সিয়ার গোলে এগিয়ে যায় ওসাসুনা। তবে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন ইস্কো ও অধিনায়ক সার্জিও রামোস। বিরতির পর গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোন দল। ম্যাচের শেষদিকে আরও দুই গোল আদায় করে জিদানের দল। ৮৪ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান লুকাস ভাসকুয়েজ। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ওসাসুনার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন লুকা জোভিচ। ম্যাচশেষে দলের জয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান। তিনি বলেন, আমাদের শুরুটা ভাল হয়নি। এরপরও ছেলেরা যেভাবে ফিরে এসেছে সেটা দারুণ। ওদের ওপর আমার আস্থা আছে। সেটা ওরা সবসময়ই দিয়ে থাকে। রিয়াল অধিনায়ক রামোস বলেন, এটা দারুণ একটা জয়। আশা করছি শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে পারব। তবে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
×