ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রিসভায় উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

যুব বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষের সেরা উপহার

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

যুব বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষের সেরা উপহার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নোবেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে মুক্ত থাকতে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চীন থেকে আর কাউকে ফিরিয়ে আনা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। মাদকদ্রব্য মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ‘বিশেষ আদালত’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। এই লক্ষ্যে সোমবার মন্ত্রিসভা ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া চারবার বিশ্বকাপ জয়ী ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট জাতীয় দলকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষে জাতির জন্য সেরা উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দলটি দেশে ফিরে আসার পরে এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য তাদের একটি বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হবে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সংবর্ধনা দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বিজয় উপলক্ষে কয়েকদিন ছুটিই চেয়ে বসেন। কয়েকজন মন্ত্রীও হেসে তার কথায় সমর্থন করেন। তবে প্রানমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ছুটি নয়। এই খুশিতে বরং সবার এক ঘণ্টা করে বেশি কাজ করা উচিত। যুব ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ের জন্য বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পর তিনি বলেন, আমিও ক্রিকেট দলসহ সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রধনমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিজয়। খেলাধুলায় এতবড় বিজয় আগে কখনও পাইনি। যুব দলের এ বিজয় মুজিববর্ষের সেরা উপহার। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত সবাই এতটাই আনন্দিত ছিলেন যে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটিই চেয়ে বসেন। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক তো প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, এ বিজয়ে আমাদের কয়েকদিন ছুটি দেন। কয়েকজন মন্ত্রীও হেসে তার কথায় সমর্থন করেন। তবে প্রানমন্ত্রী বলেছেন, ছুটি নয়। এই খুশিতে বরং সবার এক ঘণ্টা করে বেশি কাজ করা উচিত। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ক্রিকেট দলকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে। বিশ্বকাপ জয়ী যুব ক্রিকেট দলকেও গণসংবধর্না দেয়া হবে বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সিদ্ধান্তও হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হবে এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন যে, দলটি দেশে ফিরে আসার পরে এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য তাদের একটি বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হবে। এই ইস্যুতে একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসি অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের ঘটনাকে বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় অর্জন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তরুণ টাইগাররা রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে তিন উইকেটে পরাজিত করে আকাক্সিক্ষত ট্রফি জয় করেছে। শেখ হাসিনা স্মরণ করেন, ১৯৯৭ সালে আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, যখনই বাংলাদেশ দল কোন ট্রফি জিতেছে, আমরা তাদের সংবর্ধনা দিয়েছি। আমরা আইসিসি অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলকেও জমকালো সংবর্ধনা দেব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা আইসিসি অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত চার বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ পারফরমেন্সের মাধ্যমে তারা পরিশ্রমের সুফল পেয়েছে। বাংলাদেশ দল চারবারের আইসিসি অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলকে হারিয়েছে। তাদের (বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের) অনেক সাহস আছে এবং তারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। এই ইস্যুতে একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসি অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের ঘটনাকে বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় অর্জন’ হিসেবে অভিহিত করেন। দলনায়ক আকবর আলি টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে তার পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে। এখানে কিভাবে সঙ্কটপূর্ণ সময়ে মোকাবেলা করতে হয় তা তার থেকে শেখার আছে। আমাদের সবাইকেই সঙ্কটের সময়ে তা থেকে উত্তরণের জন্য এভাবেই চেষ্টা চালাতে হবে। তিনি আকবরের এই ম্যাচ উইনিং ইনিংসটিকে কুয়ালালামপুরের ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিতে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে আকরাম খানের সেই স্মরণীয় ব্যাটিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। দলনায়ক আকবর আলি টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে তার পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে। এখানে কিভাবে সঙ্কটপূর্ণ সময়ে মোকাবেলা করতে হয় তা তার থেকে শেখার আছে। আমাদের সবাইকেই সঙ্কটের সময়ে তা থেকে উত্তরণের জন্য এভাবেই চেষ্টা চালাতে হবে। তিনি আকবরের এই ম্যাচ উইনিং ইনিংসটিকে কুয়ালালামপুরের ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিতে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে আকরাম খানের সেই স্মরণীয় ব্যাটিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে সম্প্রতি নারী ক্রিকেট দলের আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি কোয়ালিফায়ার্সে চ্যাম্পিয়ন এবং সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণজয়ের কথাও বলেছি। সকালে আমাদের আরচার রোমান সানার বিশ্ব আরচারিতে সেরা ব্রেকথ্রু হওয়ার খবরটিও আমি দিয়েছি প্রধানমন্ত্রীকে। তখন তিনি রোমানকে অভিনন্দন জানিয়ে আরচারির অনুশীলনের জন্য একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা নিয়েও কথা বলেছেন। গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কে আরচারির জন্য জায়গা বের করতে পারলে সেটা হবে অনুশীলনের জন্য ভালো পরিবেশ’-জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। রবিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোন টুর্নামেন্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের সব কয়টি উইকেট হারিয়ে করা ১৭৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ২৩ বল হাতে রেখে ছিনিয়ে নেয় ঐতিহাসিক জয়। খেলাধুলার বিভিন্ন আসরে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা নতুন নয়। তবে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো অর্জনটা প্রথম এলো অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দলের হাত ধরে। চীন থেকে আর কাউকে ফিরিয়ে আনা হবে না নভেল করোনাভাইরাসের (এনসিওভি) সংক্রমণের হাত থেকে মুক্ত থাকতে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চীন থেকে আর কাউকে আনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সরকার। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে ইনফরমালি যতটুকু কথা হয়েছে তাতে আপাতত চীনে আমাদের যারা আছেন, তাদের আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে যে, তারা যে যুক্তিগুলো দিয়েছে যেমন- খাবারের অভাব, সাপোর্ট পাচ্ছেন না, আসলে তাদের খাবার-দাবারের কোন অভাব নেই। বরং তাদের সব সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে তাদের আনার কোন জাস্টিফিকেশন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা ইতোমধ্যে যে চ্যালেঞ্জ- যে বিশেষ বিমানে নিয়ে আসলাম, সেই বিমান এবং বিমানের ক্রু-পাইলট অন্যদেশ এক্সেপ্ট করছে না। তাই আমাদের এ মুহূর্তে পরবর্তী যে লট সেটা আনার জন্য কোন তরফ থেকে জাস্টিফিকেশন আসেনি। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আপাতত সেটা হচ্ছে না। মাদক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিশেষ আদালত হবে মাদকদ্রব্য মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ‘বিশেষ আদালত’ গঠিত হবে। মাদক মামলার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা থাকলেও সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সব জেলা ও মহানগরে বিশেষ আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে আদালতে বছরের পর বছর ঝুলে থাকা মাদক মামলার সংখ্যা কমে আসবে। কোন মামলার রায়ের পর হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালতে দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করতেও নতুনভাবে সৃষ্ট মাদকের অগ্রাসন রোধ কল্পে ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদে পাস হয়। পরে একই বছরের ১৪ নবেম্বর রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৪৪ ধারা অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের কথা বলা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করিতে পারিবে। রাইডার উপধারা ১ এর অধীন একাধিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হলে, ট্রাইব্যুনাল গঠনকারী প্রজ্ঞাপনে প্রতিটি ট্রাইব্যুনালের উক্ত এলাকা নির্দিষ্ট করিতে পারবে। প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে অতিরিক্ত জেলা জজ পদ মর্যাদার অফিসারদের মধ্য হইতে বিচারক নিযুক্ত হইবেন তবে শর্ত থাকে যে কোন জেলায় অতিরিক্ত জেলা জজ না থাকলে ওই জেলা দায়রা জজ তাহার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ধারার অধীন ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা জজ দায়রা জজকে তাহার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করতে পারবে। সরকার যে স্থানসমূহ নির্ধারণ করবে সেই স্থান বা স্থানসমূহের যেকোন স্থানে ট্রাইব্যুনাল বুঝতে পারবে এবং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এ ধারার অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকার সুপ্রীম কোর্টের পরামর্শ গ্রহণ করবে। কিন্তু প্রশাসনিক কারণে বিচার ও আইন বিভাগ থেকে অদ্যাবধি মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন বা অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজকে তার দায়িত্বের অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ কার্যকরী হওয়ার পর এ আইনে দায়েরকৃত মামলাসমূহ বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং পেন্ডিং মামলার সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এমতাবস্থায় এ আইনের আওতায় দ্রুত বিচার কার্য শুরুর লক্ষ্যে ৪৪ ধারার ট্রাইব্যুনালের পরিবর্তে একটি অসম্পূর্ণ আদালত গঠনের মাধ্যমে আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়, যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হবে। শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, সংশোধন করা হলে এ আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধগুলো অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে বিচার হবে। সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ তাদের এখতিয়ার সম্পন্ন এলাকার জন্য কেবল মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচারের জন্য এক বা একাধিক আদালত নির্দিষ্ট করতে পারবেন। ফলে মাদক অপরাধের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
×