ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এক দিনে ৯৭ জনের মৃত্যু, মোট সংখ্যা ৯১০

করোনা মোকাবেলায় চীনের ১০ বিলিয়ন ডলার বাজেট

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনা মোকাবেলায় চীনের ১০ বিলিয়ন ডলার বাজেট

করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে ৭২ বিলিয়ন ইউয়ান বা ১০.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘোষণা করেছে চীন। রবিবার দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিয়ে একটি ঘোষণা দিয়েছে। রয়টার্স। বেজিং জানিয়েছে এই অর্থ দিয়ে কি কি করা হবে। সাধারণ মানুষের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা ছাড়াও তারা যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সবকিছুতে আগের তুলনায় উন্নত সেবা পান তা নিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে এই অর্থ চীনের প্রতিটি অঞ্চলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত হবে। নতুন করে যাতে এর সংক্রমণ না বেড়ে যায় সেটিও নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে চীনা অর্থ মন্ত্রণালয়। এক দিনেই গেল ৯৭ প্রাণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১০ ॥ চীনে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১০ জনে, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার। গত বছরের শেষ দিন চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম এ ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ার পর থেকে এক দিনে এত বেশি মৃত্যুর খবর আর আসেনি। চীনের মূল ভূখ-ে এ পর্যন্ত যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজন জাপানী ও একজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন, বাকিরা চীনা নাগরিক। মূল ভূখ-ের বাইরে এ পর্যন্ত ফিলিপিন্স ও হংকংয়ে দুই চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে নতুন এ করোনাভাইরাসে, যাকে বলা হচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস। চীনের বাইরে অন্তত ২৫ দেশে আড়াই শ’র বেশি মানুষের দেহে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক বাংলাদেশীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তোকে নেয়া হয়েছে আইসোলেশন ইউনিটে। বিভিন্ন দেশে মানুষ থেকে মানুষে নোভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকায় গত ৩০ জানুয়ারি এ ভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক জরুরী অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গ হয় ফ্লু বা নিউমোনিয়ার মতো। কিন্তু বয়স্ক এবং অন্য অসুস্থতা থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ সংক্রামক রোগ হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। এর কোন প্রতিষেধকও মানুষের জানা নেই। চীনে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি বিশেষজ্ঞ দল চীনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রস এ্যাডহানম গ্রেব্রেইয়েসুস এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. ব্রুস এলও য়ার্ডের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দলকে চীনে পাঠাতে আমরা বিমানবন্দরে এসেছি।’ এর আগে প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ এবং টিকাদান, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও পোলিও নির্মূলের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ড. ব্রুস। ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথম বারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারীর আশঙ্কায় বিশ্বের কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ কয়েকটি দেশ।
×