ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

ঢাবিতে পর্দা উঠল আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবের

প্রকাশিত: ১০:২১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঢাবিতে পর্দা উঠল আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবের

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে পর্দা উঠেছে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪২৬’ উৎসবের। রবিবার সকাল ১০টায় সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ প্রদর্শনীর মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী ১৯তম আসরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে বিকেল ৩টায় উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের মডারেটর অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবং ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ বাংলাদেশের সভাপতি লাইলুন নাহার শেমী। উদ্বোধন ঘোষণা করার পর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলা সিনেমার পৃষ্ঠপোষকতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার মধ্যে অন্যতম এই উৎসবটি। এ সময় তিনি ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪২৬’-এর টিকেট বিক্রির অর্থের একটি অংশ অসুস্থ ভাষা সৈনিক আবদুল মালেকের সুচিকিৎসার জন্য প্রদানের উদ্যোগ নেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের প্রশংসা করেন। লাইলুন নাহার শেমী বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে বাংলা চলচ্চিত্রমুখী করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবটি প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই নিয়মিত প্রচেষ্টা আগামী বছরগুলোও অব্যাহত থাকুক। উৎসবটি চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে দুই বাংলার সমসাময়িক ও ধ্রুপদী ১৯ পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সমকালের আয়নায় ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’ স্টাফ রিপোর্টার জানান, মঞ্চে জ্বলে ওঠে অগ্নিশিখা। আলো ও লাল কাপড়ের ক্যারিশমার তৈরি অগ্নিযজ্ঞ থেকে ধীরে ধীরে সুদর্শনা নীলবসনা দ্রৌপদীর আগমন। পরে পঞ্চপুরুষের কাছে হস্তান্তর ও দ্রৌপদীর নারীজীবনের সমূহ যন্ত্রণার ইঙ্গিত ও পরিচয়কে তুলে ধরা হয় কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে। এ যেন কালের ছায়ায় নতুন করে জন্ম নেয়া দ্রৌপদী। থিয়েটার প্রযোজিত ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’ নাটকের শুরুটা ছিল এমনই। রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে দলের ৪০তম প্রযোজনা এ নাটকটির ৩২তম মঞ্চায়ন হয় রবিবার সন্ধ্যায়। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন তরুণ নাট্যকার এবং নির্দেশক প্রবীর দত্ত। জাবিতে সংহতি সংযোগ অনুষ্ঠান জাবি সংবাদদাতা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে রবিবার বেলা ১১টায় কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন বেঙ্গলি লিটারেরি সোসাইটি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক বিনিময় উপলক্ষে সংহতি সংযোগ-২০২০ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নূরুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। জবিতে দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রচার ও প্রসার উৎসব জবি সংবাদদাতা জানান, দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে রবিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে উৎসব। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের মেন্টর এবং ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারপার্সন জুনায়েদ আহমদ হালিম। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বৃহৎ কলেবরে‘কালি ও কলম’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বৃহৎ কলেবরের একটি সংখ্যা (মাঘ ১৪২৬) প্রকাশ করেছে সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘কালি ও কলম’। সংখ্যাটির প্রকাশনা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজধানীর লালমাটিয়ার বেঙ্গল বই ঘরে রবিবার বিকেলে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের একটি অগ্রন্থিত কবিতা পাঠ করেন হাসান আরিফ। এরপর বক্তব্য রাখেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। তিনি বলেন, ৩১ প্রবন্ধ ও একগুচ্ছ কবিতায় তার বহুমুখী রাজনৈতিক কর্মধারা, বাঙালিত্বের সাধনা, অসাম্প্রদায়িক বোধ প্রসারে অঙ্গীকার, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন, মানবিকতা এবং নবগঠিত রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের জন্য যে- দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছিলেন সে সম্পর্কে আলোচনায় প্রয়াসী হয়েছি। কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন বলেন, আমরা এই দেশের জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই জনগণের নেতা, সকল বাঙালীর প্রাণের নেতা। অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, এই সংখ্যাটি বাংলা সাহিত্যে একটি মূল্যবান সংযোজন। বঙ্গবন্ধু একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত অনেক পছন্দ করতেন। এমনকি ১০ জানুয়ারির ভাষণ শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে। তিনি কালি ও কলমের এই সংখ্যাটিকে বই হিসেবে বের করার আহ্বান জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন। সেলিনা হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শন তাকে আজও অভিভূত করে। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করার এক সহজাত ক্ষমতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল। কিন্তু তিনি কখনও বিভেদ করতেন না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালীকেই তিনি ভালবাসতেন। এরপর মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে আয়োজন শেষ হয়।
×