সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা জাহিদ হাসান ভারতের রূপ বিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসেই যেন সবাইকে চমকে দিলেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত প্রায় সাড়ে নয়টায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে কেয়া শেঠ আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাহিদ হাসান উপস্থিত হন। দু’জন শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বেশ কিছুটা সময় অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। সৌন্দর্য বিকাশের পাশাপাশি এ বিষয়ক নানাবিধ রোগের সমস্যার সমাধান নিয়েও কাজ করেন ভারতের প্রখ্যাত সৌন্দর্য ও এ্যারোমা বিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ। প্রাকৃতিক ও জৈব উপাদানে নির্ভর করে অনিদ্রা, মাইগ্রে, এসিডিটি ও আর্থারাইটিসের মতো গভীর অসুখ নিরাময়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে এ্যারোমাকে নতুন আঙ্গিকে হাজির করেছেন তিনি। এসব উদ্ভাবন নিয়ে তিনি আগামী ১২-১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় উপস্থিত হচ্ছেন বসুন্ধরা বিমসটেক আয়ুষ ট্রাডিশনাল হেলথ কেয়ার প্রাকৃতিক ও জৈব পণ্য এক্সপো ২০২০-এ। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এ এক্সপোতে তিনদিনই কেয়া শেঠ উপস্থিত থাকবেন ১০১-১০২ নাম্বার স্টলে। এসব তথ্য জানাতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কেয়া শেঠের প্রতিষ্ঠান ‘কেয়া শেঠ এ্যারোমা থেরাপি (বিডি) প্রাইভেট লিমিটেড’। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে নিজের উদ্ভাবিত বিভিন্ন পণ্যের বিস্তারিত তুলে ধরে কেয়া শেঠ বলেন, আমার উদ্ভাবিত পণ্য আগে আমরা নিজেরাই ব্যবহার করি। নিজেদের ওপর প্রয়োগ করি। তারপর ভারত সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোর বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই সাধারণ মানুষের জন্য প্রকাশ করি। সারা বছর ধরে আমার গবেষণাগারে প্রতিটি বিষয়কে আরও উন্নত করার গবেষণা চলছে। বস্তুত এ কারণে আমার প্রতিটি পণ্যের মডেল আমি বা আমার ছেলে-মেয়েরা। আসলে আমি নিজে যা উপলব্ধি করি, অনুভব করি তাই প্রকাশ করি। আমার এ্যারোমা পণ্য বাংলাদেশে চাহিদা বাড়ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি আমি। তার অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের আমাদের কারখানা স্থাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের পণ্য যেমন বাংলাদেশে সুলভ হবে তেমনই সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানও। এছাড়া কোম্পানি নথিভুক্ত করে ঢাকায় অফিস খুলে এই চিকিৎসাকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরুও করেছি। প্রসঙ্গত, কেয়া শেঠ বর্তমানে এ্যারোমা থেরাপি বিষয়ক ২৪০টি বিভিন্ন অসুখের পণ্য ও সৌন্দর্য বিকাশের পণ্য বাজারজাত করছে। পাশাপাশি লাইফ স্টাইল নিয়ে প্রকাশিত ‘অদ্বিতীয়া’ নামে একটি ম্যাগাজিনেরও সম্পাদক তিনি। ভারতে তিনি দু’বার জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও রয়েছে তার অর্জনে।
