ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের শেয়ারবাজারে আবারও টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা তিন কর্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক একচেঞ্জের দ্বন্দ্বের কারণে এই নেতিবাচক প্রবণতা বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে ঠিক একই সময়ে দুই সংস্থার মধ্যে টানাপোড়েন কিছুটা বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে সূচকেও দেখা দেয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু বেলা ১১টার পর লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। সেই সঙ্গে পতন হয় ডিএসইর সবকটি মূল্য সূচকের। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমে ১৫১টির। আর দাম অপরিবর্তিত থাকে ৬১টির। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের এই দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জাহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার। ৯ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে - বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল, বিবিএস কেবলস, এমএল ডাইং, অ্যাডভেন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল এবং কপারটেক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৪২ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৩৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে একশটির, কমেছে ১০১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির।
×