ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বরফ রাজ্যে নতুন ‘খলনায়ক’ উষ্ণ জলস্রোত

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বরফ রাজ্যে নতুন ‘খলনায়ক’ উষ্ণ জলস্রোত

অনলাইন ডেস্ক ॥ বায়ুস্তরের উষ্ণতা বৃদ্ধিতে গ্রিনল্যান্ডের হিমবাহ গলছে- এমন তথ্য অনেক আগেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবার গ্রিনল্যান্ডের হিমবাহের গলনের আরও একটি কারণ জানালেন গবেষকরা। আর তা হলো- সামুদ্রিক জলস্রোত। গবেষকের দাবি, দৈত্যাকার ওই বরফের চাদরের নীচ দিয়ে যে উষ্ণ সামুদ্রিক জলস্রোত বয়ে চলেছে, তার জেরে হিমবাহের তলদেশ থেকেও গলন শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, ওপর থেকে বরফ রাজ্যে ‘হামলা’ চালাচ্ছে বায়ুস্তর, আর নীচ থেকে গলনে ‘ইন্ধন’ জোগাচ্ছে উষ্ণ জলস্রোত। গত সোমবার এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি ‘নেচার জিওসায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের ‘৭৯ ডিগ্রি নর্থ গ্লেসিয়ারের’ ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়েছিলেন গবেষকরা। আইস টাং আসলে ভাসমান বরফের চাঁই। তবে তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য, জলের ওপর ভেসে বেড়ালেও মূল বরফখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। গবেষণায় গবেষকরা যে আইস টাং নিয়ে কাজ করেছেন সেটির দৈর্ঘ ছিল ৫০ মাইল। সেখান থেকেই নজরে আসে জলস্রোত। গবেষকদের দাবি, আটলান্টিক মহাসাগর থেকে একটি উষ্ণ জলস্রোত সরাসরি আইস টাংটির দিকে বয়ে আসে। প্রায় এক মাইল চওড়া ওই স্রোতকেই বরফ রাজ্যের নতুন ‘খলনায়ক’ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। জার্মানির আলফ্রেড ওয়েগেনার ইনস্টিটিউটের সমুদ্র বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক দলের প্রধান জানিন শাফারের ভাষায়, ‘হিমবাহের এত দ্রুত গলনের কারণ এখন স্পষ্ট।’ গত বছর সামগ্রিকভাবে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে রেকর্ড ভেঙেছিল। গত বছর ‘অ্যাডভান্সেস ইন অ্যাটমসফেরিক সায়েন্সেস’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, গত ২৫ বছর ধরে প্রতি সেকেণ্ডে যদি পাঁচটি করে হিরোশিমার মতো পরমাণু বোমা ফেলা হতো, তাহলে যে পরিমাণ তাপ তৈরি হয় সেই পরিমাণ তাপ টেনে নিচ্ছে সমুদ্রের পানি। পরিবেশ নিয়ে এ আশঙ্কার মাঝেই উষ্ণ জলস্রোতকে হিমবাহের গলনের কারণ হিসেবে খুঁজে পেলেন গবেষকরা।
×