ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় এলেন মেসির সতীর্থ বার্কোস

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঢাকায় এলেন মেসির সতীর্থ বার্কোস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্রাজিলের সান্তোসের যুব দলে খেলতেন নেইমার। তার সতীর্থ যিনি ছিলেন সেই এভারটন সুজা সান্তোস ২০১০-১১ মৌসুমে খেলতে এলেন বাংলাদেশের ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেডে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর। ফেডারেশন কাপে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলতে এলেন যুক্তরাষ্ট্রের রিভেরি সিডনি এ্যাডাম। চার বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লীগের দল অরল্যান্ডো সিটিতে বিশ্বখ্যাত ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কাকার সতীর্থ ফুটবলার ছিলেন সিডনি। এভারটন-সিডনি দু’জনই দুই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার ও কাকার সঙ্গে খেলেছেন, তবে সেটা ক্লাব পর্যায়ে। বাংলাদেশের যারা আর্জেন্টাইন ভক্ত ছিলেন, তাদের একটা আক্ষেপ ছিলÑ বিশ্বফুটবলের বিস্ময় লিওনেল মেসির কোন সতীর্থ বাংলাদেশের কোন ক্লাবে এসে খেলেননি। তাদের সেই আক্ষেপ অবশেষে ঘুচতে যাচ্ছে। কারণ মেসির এক সতীর্থ বুধবার পা রেখেছেন ঢাকায়। উদ্দেশ্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলা। তবে প্রথম লেগে নয়, দ্বিতীয় লেগে। তার নাম হার্নান বার্কোস। বুধবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে বাইরে আসার পর হার্নান বার্কোসকে বসুন্ধরা কিংসের জার্সি পরিয়ে দেন ক্লাব কর্মকর্তারা। তাকে বরণ করে নেন ফুল দিয়ে। ৩৫ বছর বয়সী বার্কোস ২০১২ সালে লিওনেল মেসির সঙ্গে আর্জেন্টিনার হয়ে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। বার্কোস আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা দীর্ঘায়িত নয়। ২০১২ সালে অভিষেক ওই বছরই আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলেছিলেন শেষ ম্যাচ। ওই বছর সুপার ক্লাসিকোতে ব্রাজিলের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। ওই ম্যাচে অবশ্য মেসি খেলেননি। এরপর উরুগুয়ে ও চিলির বিপক্ষে ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন বার্কোস, তবে বদলি হিসেবে। ওই ম্যাচে খেলেছিলেন মেসি। বার্সিলোনার সুপার স্টার মেসির সঙ্গে খেলতে পারার স্মৃতি এখন মনে আছে বার্কোসের, ‘মেসি আর সবার চেয়ে আলাদা। ২০১২তে ওর সঙ্গে খেলার সময়টা এখনও আমার কাছে আনন্দময়।’ ২০০৪ সাল থেকে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করা বার্কোস খেলেছেন স্বদেশী ক্লাব রেসিং, হুরাকান, ভেলেজ সার্সফিল্ড, প্যারাগুয়ের গুয়ারানি, ইকুয়েডরের ওলমেন্দো, এলডিইউ কুইতো, সার্বিয়ার রেড স্টার বেলগ্রেড, চীনের সাংহাই শেনহুয়া, শেনযেন এশিয়া ট্রাভেল, তিয়ানজিন তেদা, ব্রাজিলের পালমেইরার্স, গ্রেমিও, ক্রুজিরো, পর্তুগালের স্পোর্টিং সিপি এবং কলম্বিয়ার এ্যাথলেটিকো ন্যাসিওনালে খেলেছেন ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফরোয়ার্ড। ক্লাব ক্যারিয়ারে মোট খেলেছেন ৪৯৪ ম্যাচ। গোল করেছেন ২৩১টি। এলডিইউ কুইতোর হয়ে ২টি এবং পালমেইরার্স ও ক্রুজিরোর হং জিতেছেন ১টি করে শিরোপা। ২০০৯ সালে চাইনিজ সুপার লীগে গোল্ডেন বুট, ২০১০ ও ২০১৭ সালে ইকুয়েডরিয়ান লীগের টপ স্কোরারের পুরস্কার পেয়েছেন বার্কোস। বাংলাদেশে আসতে পেরে আনন্দিত বার্কোস। যে ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলবেন সেই বসুন্ধরা কিংসের সম্পর্কেও খোঁজ-খবর নিয়ে এসেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এই অঞ্চলে ফুটবলে খেলতে এলাম। ইন্টারনেট ঘেঁটে বাংলাদেশ সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। বসুন্ধরা কিংস সম্পর্কে অনেক তথ্য নিশ্চিত হয়েই এই ক্লাবে খেলতে এসেছি। এই দলে তো বিশ্বকাপ খেলা কলিনড্রেসও আছে। আশাকরি ভাল একটা দল হতে পারব আমরা।’ বার্কোস আরও যোগ করেন, ‘বসুন্ধরা কিংস নতুন ক্লাব কিন্তু এরই মধ্যে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
×