ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের মান ও সঠিক শনাক্তকরণ জরুরী

প্রকাশিত: ১১:২৭, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের মান ও সঠিক শনাক্তকরণ জরুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি দাতা সংস্থা, সংশ্লিষ্ট সকল বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এর পাশাপাশি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের গুণগতমান ও সঠিক শনাক্তকরণ জরুরী। তবে এ নিয়ে প্রচার বাড়ানো ও সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪২ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। শিশু যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৩৫০ জন। ২০১৯ সালে প্রতি হাজারে আনুমানিক ৫.৯ জন এমডি আর টিবি শনাক্ত হয়েছে। বুধবার রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ শামিউল ইসলাম। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী, ইংরেজী দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার ও বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাক যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর মেডিক্যাল অফিসার নাজিস আরেফিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল কর্মসূচীর সহযোগী পরিচালক ডাঃ মাহফুজা রিফাত। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শামীম আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ডাঃ এম এ ফয়েজ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ ইকবাল আর্সেনাল, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস ও ওয়াশ কর্মসূচীর পরিচালক ড. মোঃ আকরামুল ইসলাম, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার, সুমাইয়া শিমু, বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদ, বিখ্যাত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, নাট্যপরিচালক চয়নিকা চৌধুরী প্রমুখ। অধ্যাপক ডাঃ শামিউল ইসলাম বলেন, এটা সত্যি যে, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে আশাব্যঞ্জক কাজ হচ্ছে। কারণ জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর (এনটিপি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বেসরকারী সংস্থা সফল অংশীদারিত্বে কাজ করছে। তবে এখন আমাদের রোগ প্রতিরোধে আরও বেশি কাজ করতে হবে। এজন্য প্রচার বাড়ানো ও সচেতনতা সৃষ্টিতে আরও কাজ করতে হবে। তবে তার আগে দরকার সংশ্লিষ্ট সকলের জোরালো প্রতিশ্রুতি। প্রফেসর ডাঃ এম এ ফয়েজ বলেন, যক্ষ্মা চিকিৎসায় সফলতা আসলেও মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ এখনও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। তাই আমাদের এক্ষেত্রে যে সকল চ্যালেঞ্জ আছে, তা নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে। স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করলে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা আছে তা পূরণ করা কঠিন কিছু নয়। তিনি আরও বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের গুণগতমান ও সঠিক শনাক্তকরণ জরুরী। ড. মোঃ আকরামুল ইসলাম বলেন, যক্ষ্মা চিকিৎসা বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে করছে। এট একটা বড় সাফল্য ও সরকারের প্রশংসার বিষয়। তবে অনেকে এ তথ্য জানেন না। এ তথ্য প্রচারে আমাদের আরও উদ্যোগ নিতে হবে। ডাঃ মাহফুজা রিফাত বলেন, যক্ষ্মার ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক সফলতা সত্ত্বেও এটি এখনও বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য সমস্যা। সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে সরকারের সহযোগী হিসেবে ব্র্যাক বিস্তৃত পরিসরে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
×