ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিনারে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান

কারিগরি শিক্ষার সুযোগ ও পরিধি বাড়ছে

প্রকাশিত: ১১:০৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

কারিগরি শিক্ষার সুযোগ ও পরিধি বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ ও পরিধি আরও বাড়ছে। এ তথ্য জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে কেবল কারিগরি ধারার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। সকল শিক্ষার্থীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ ও পরিধি বাড়ানো হবে। প্রতিটি সাধারণ ধারার বিদ্যালয়ে কমপক্ষে দুটি বৃত্তিমূলক ট্রেড চালু করা হবে। বুধবার রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নওফেল বলেন, কেবল প্রচলিত সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমে দেশের সবার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি সাধারণ ধারার বিদ্যালয়ে কমপক্ষে দুটি বৃত্তিমূলক ট্রেড চালু করা হবে। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। বৃত্তিমূলক ও কারিগরি দক্ষতাকে বৈশ্বিক পরিম-লে কাজে লাগাতে বিদেশী ভাষায় পারদর্শিতা অর্জনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। উপমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণ ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আরও যতœবান হতে হবে। সেমিনারে আগত বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ফলে কারিগরি শিক্ষায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সহজ হবে বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। মানসম্মত শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেছেন, মানসম্মত ও কার্যকর কারিগরি শিক্ষাই আমাদের কাম্য। কারিগরি শিক্ষা যেন শুধু নামে কারিগরি শিক্ষা না হয়। দেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কাক্সিক্ষত ফল দেখাতে পারছে না। পুঁথিগত শিক্ষার সঙ্গে প্রায়োগিক শিক্ষা বা লাইফ স্কিল থাকা প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারিগরি শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বলেছেন। যা একুশ শতকের জন্য অত্যন্ত প্রযোজ্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায়োগিক শিক্ষায় সকলকে শিক্ষিত হতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। দিন দিন কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, আগে কারিগরি শিক্ষার্থীদের প্রতি ধারণা ছিল তারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ভাল না, তাই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু একুশ শতকে এসে ধারণার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। কারিগরি ক্ষেত্রে কাজ করতে সেবাগ্রহীতারা কি চাচ্ছেন তা বুঝতে পারা আবশ্যক। অনেক সময় আমরা নিজেদের ভাষা বাংলাই বুঝতে পারি না। একটি কল সেন্টারের অভিযোগ, শ্রোতার অনেক অভাব। কেউ মনোযোগ দিয়ে শুনতে চায় না, শুনলেও বুঝতে পারে না। তাই নিজেদের ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর ইংরেজী সম্পূর্ণ বিদেশে একটি ভাষা। আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করতে চাইলে ইংরেজীতে দক্ষতা অর্জনের ওপরও কারিগরি শিক্ষার্থীদের জোর দিতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদের, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ সানোয়ার হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান, আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ এবং কলম্ব প্ল্যান স্টাফ কলেজ ফিলিপাইনসের মহাপরিচালক ড. রাম হরি লামিচানি।
×