ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজিজ আহমেদ

বায়ুদূষণ থেকে সাবধান

প্রকাশিত: ১০:২৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বায়ুদূষণ থেকে সাবধান

সারা বিশ্বেই প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যায় বায়ু ও পানি বাহিত বিভিন্ন রোগের কারণে। এ ধরনের রোগ বায়ু ও পানি বাহিত হয় বলেই অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং মহামারী আকার ধারণ করে। সেটা আমরা প্রতি বছরই দেখতে পাচ্ছি কিন্তু এ বছর এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বায়ু দূষণ, ও পানি বাহিত রোগ অত্যন্ত মারাত্মক। আমরা দেখতে পাই দূষিত পানি পান করার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং মৃত্যু পর্যন্তও ঘটে। এছাড়া গত কয়েক মাস আগে ঢাকাতে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছিল। আর ডেঙ্গু, চিকনুগুনিয়া এসব রোগ সাধারণত হয়ে থাকে কয়েক দিনের জমে থাকা পানি থেকে অর্থাৎ ওই পানিতে মশা জন্মে এবং রোগ ছড়ায়। এছাড়াও পানি বাহিত রোগের মধ্যে আমরা দেখতে পারি ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড ইত্যাদি নানা রকমের রোগ যা থেকে মানুষের মৃত্যুও ঘটে। আর পানি বাহিত এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের একটু সচেতনতাই যথেষ্ট। সারা পৃথিবীতে এখন সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা হচ্ছে বায়ু দূষণ। মারাত্মকভাবে প্রত্যেকটি দেশেই বায়ু দূষিত হচ্ছে প্রতিনিয়তই। গত কয়েক মাসে আমাজন ও অস্ট্রেলিয়ার বন পুড়ে গেল, এছাড়া সারা বছরই দাবানলে পুড়ছে বন। কল কারখানা, যানবাহন ইত্যাদির জ্বালানিতে দূষিত হচ্ছে বায়ু। এর ফলে মানুষ প্রতিনিয়তই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে শক্তিশালী দেশ চীনে শুরু“হয়েছে নতুন এক সমস্যা। গত কয়েক দিনে দেশটিতে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ব্যাপক মানুষ। ইতোমধ্যে শতাধিক মানুষ মারা গেছে। এখনও আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত, এটা মূলত এমন একটি ভাইরাস যাকে আমরা বলতে পারি ‘হিউম্যান টু হিউম্যান ট্রান্সমিশন।’ এটা খুবই উদ্বেগজনক একটা পরিস্থিতি। চীন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল একটি দেশ, আর সেখানে এমন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। তবে বিভিন্নভাবে মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছে দেশটির সরকার। ইতোমধ্যে দেশটিতে সমস্ত রকমের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যাতে বাইরের দেশে এই ভাইরাসে আর কেউ আক্রান্ত না হয়। প্রথমে চীনের উহান শহরে গত ডিসেম্বরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ দেখা যায় মূলত সেখান থেকেই শুরু হয়েছে যা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এটি মূলত একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে থাকে হাঁচি-কাশিসহ বাতাসের সঙ্গেও অর্থাৎ বাতাসেও বহন করে এটি তাই বিশেষজ্ঞরা বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছেন। চীনসহ সারাবিশ্বেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাইরের গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তবে আশার কথা হলো, চীন দাবি করেছে নভেল করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন তারা আবিষ্কার করেছে। যদি তাই হয় তাহলে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা অনেকটাই সহজ হবে। তবে এই বায়ু ও পানি বাহিত রোগগুলো সাধারণত আমরা একটু সতর্কতার সঙ্গে থাকলেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আতঙ্কিত না হয়ে আসুন নিজেরা সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি। টাঙ্গাইল থেকে
×