ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংক্রমণ রোগ মোকাবেলা

প্রকাশিত: ১০:২৮, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সংক্রমণ রোগ মোকাবেলা

রোগ নিরাময়ের চাইতে রোগ প্রতিরোধ সহজ ও সস্তা। এখন পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধের পুরোপুরি ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি না। তবে এটা জানা যায়, মানুষ থেকে মানুষে এ রোগ সংক্রমিত হয়। আমরা এখন এও জানি যার ভিতরে এই জীবাণু প্রবেশ করেছে তার থেকে সুস্থ মানুষের মধ্যে এ জীবাণু প্রবেশ করার পর ১০/১২ দিন পর রোগের উপসর্গ প্রকাশ পায়। কিন্তু উপসর্গ প্রকাশ করার আগে থেকেই জীবাণু তার ভিতরে প্রবেশ করার কারণে তিনি ছোঁয়াচে হয়ে যান। প্রথম পর্যায়ে তাই তিনি একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে সমাজে বিচরণ করতে পারেন। সাধারণত নিঃশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। তাদের হাঁচি, কাশিতে অজস্র জীবাণু বের হয়। সুস্থ মানুষ নিঃশ্বাসে অথবা ভেজা চোখের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। হাতে বা আঙুলে জীবাণু থাকলে সেটা নাক, চোখ স্পর্শ করার ফলে হাতের মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে দ্রুতগতিতে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ সারাদিনে ২০/২৩ বার তার হাত বা আঙুল মুখে, চোখে, নাকে লাগায় প্রতি ঘণ্টায়। সুতরাং জাগ্রত অবস্থায় ১৮ ঘন্টায় ৩৬০ বার মুখমণ্ডলে চোখ বা নাকে হাত দেয়। এক) সেই জন্য বার বার হ্যান্ড লোশন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দুই) মাস্ক বা মুখোশ পরা আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে মাস্কের বড় অসুবিধা এতে চোখ ঢেকে রাখা যায় না। মাস্কের আশেপাশে ঢিলা থাকে এবং মাস্ক বারবার বদলানো যায় না। এর জন্য বড় এবং টাইট মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োাজন। জেনে নেয়া যাক কোথা থেকে রোগ ছড়ায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভিমত থেকে জানতে পারছি নিচের বিষয়গুলো। এক) রোগীর বাড়ি থেকে। দুই) যেখানে অনেক জনসমাগম হয়। যেমন: জনসভা, ধর্মীয় সভা, বাচ্চাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালের আউটডোর, ব্যক্তিগত ও সরকারি সামাজিক আয়োজন। পার্টি সেন্টার, পার্ক, সিনেমা হল ইত্যাদি। চীনের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে ইউনান প্রদেশে এই স্থানগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। গণপরিবহন, উড়োজাহাজ, রেলগাড়ি ইত্যাদি। এগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। এয়াারপোর্ট, সমুদ্র বন্দর, রেল স্টেশন হাসপাতাল আউটডোর ইত্যাদি জনবহুল স্থানে স্ক্যান করতে হবে। চীনে ব্যবহৃত জ্বর দেখার স্ক্যানার জোগাড় করতে হবে। এটা শুধু কপালের কাছে লাগালেই গাণিতিক অক্ষরে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে, যা ভাইরাসের প্রথম উপসর্গ জ্বর। টিভি, রেডিও, সংবাদপত্রকে তাদের যোগ্য ও প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে হবে। কেমন করে আত্মরক্ষা করতে হবে তা শিখিয়ে দিতে হবে। কেউ যেন ভয় না পায় সেটাও দেখতে হবে। সরকার ও চিকিৎসক, সেবক/ সেবিকাসহ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মীদের এসব ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ব্যাপারে ন্যাশনাল কমিটি অব এক্সপার্ট অবিলম্বে গঠন করা দরকার। আমাদের স্মরণে আছে, বহু বছর আগে প্রতিবেশী দেশে প্লেগের আবির্ভাব হয়েছিল। তখনকার জাতীয় কমিটিতে স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ, বিডিআরসহ জাতীয় কমিটির সাফল্যের ফলে একটি প্লেগ রোগীকেও বাংলাদেশে সনাক্ত করা যায়নি। তাই ভরসা হারানোর কিছু নেই। চট্টগ্রাম থেকে
×