করোনা ভাইরাস রোগ আতঙ্ক অতি দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে এই রোগে ইতোমধ্যে অনেক লোক মারা গেছে। তাই তো পৃথিবীর সব দেশের মানুষ এই রোগের ব্যাপারে এখন খুবই আতঙ্কগ্রস্ত। চীন এখন সারা বিশ্বে এই রোগের জন্য এক ঘরে হয়ে আছে। অন্যান্য দেশ চীনে যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই রোগের হাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য সকলেরই সতর্ক থাকা উচিত। আমাদের দেশে ইতোপূর্বে ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়া মহামারীর আকার ধারণ করেছিল যদিও আমরা এসব রোগের হাত থেকে নিজেদের বহু কষ্টে কোন রকমে রক্ষা করেছি। এখন যদি আবার নভেল করোনা ভাইরাস রোগে আমাদের দেশের মানুষ আক্রান্ত হয় তবে রোগটি অতি দ্রুত দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। আমরা জানি বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে অতি ঘনবসতি পূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দিকে রয়েছে। তাই একবার যদি এই সংক্রামক রোগটি কোন মতে এই দেশে ঢুকে তাহলে আর রক্ষা নাই। কাজেই দেশবাসীর উচিত এই ভয়াবহ রোগটি যাতে না ঢুকে সেই ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ইতোমধ্যে ১৩২ জন বাংলাদেশিকে চীন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এদের কয়েক জনকে ‘আইসোলেশান’ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এই পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে বিশটিরও বেশি দেশে এই ভয়াবহ সংক্রামক রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে আর ৩ শ’-এর বেশি মানুষ এই রোগে মারা গেছে। এটা একটা ভয়াবহ ঘটনা- তবে আতঙ্কিত না হয়ে এই রোগ যাতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সকল দেশেরই যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।
ইদানীং লক্ষ্য করা গেছে বৈশ্বিক আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। আধিকাংশ দেশ পরিবেশ ও আবহাওয়া দূষণের শিকার। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের অন্তর্গত হলেও পরিবেশ ও বায়ুদূষণের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি। প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিবেশ ও বায়ুদূষণের জন্য আক্রান্ত ব্যাধিতে কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হয় আর মারা যায় ব্যাপকহারে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বায়ু ও পরিবেশদূষণ, মশা-মাছির উপদ্রব, শহর ও নগরে যেখানে-সেখারে ময়লা-আবর্জনার জঞ্জাল, বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব, উন্নত পয়োপ্রণালির অভাব, বর্ষায় শহর ও নগরে জলাবদ্ধতা, নির্মল বায়ূর অভাব এই রোগ ব্যাধির কারণ, এসবের ওপর এখন আবার নতুন করে মানুষ এর মধ্যে দেখা দিয়েছে নভেল করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। মনে রাখতে হবে রোগ হওয়ার আগেই যাতে রোগ না হয় সে ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বাযুদূষণ ও পরিবেশ দূষণের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য যা যা করা দরকার তা সরকারকে জনগণের সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। মনে রাখতে হবে রোগ প্রতিরোধের জন্য গণসচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তাই প্রশাসন তথা সরকারের উচিত গণসচেতনতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। মানুষের খাদ্যাভ্যাস মানুষকে অনেক কঠিন রোগের হাত থেকে বাঁচায়, তাই আমাদের উচিত সেসব খাবার খাওয়া যা খেলে কঠিন রোগ হবে না।
কলাবাগান ঢাকা থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: