ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলকাতায় কুকুরের দেহে পার্ভো ভাইরাস

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

কলকাতায় কুকুরের দেহে পার্ভো ভাইরাস

কলকাতা ও শহরতলীর সরকারী এবং বেসরকারী পশু চিকিৎসালয়ে বমি, মলের সঙ্গে রক্ত এবং ঝিমিয়ে পড়া কুকুর দেখাতে লাইন পড়েছে। বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালের চিকিৎসক শৈবাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘হাসপাতালে পার্ভো আক্রান্ত অনেক কুকুরই নিয়মিত আসছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতার অভাব আছে।’ তিনি জানান, এই সময়ে অনেক অসুস্থ কুকুরের মধ্যে পার্ভো সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। রাস্তার কুকুর, ভ্যাকসিন দেয়া বাড়ির পোষ্য যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। আনন্দবাজার পত্রিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭০ সালের শেষের দিকে পার্ভোর সংক্রমণ নজরে আসে। ১৯৭৮ সালের পর থেকে বছর দুয়েক বিশ্বের নানা দেশে পার্ভোর সংক্রমণ কার্যত মহামারীর আকার নেয়। প্রায় ছ’মাস বয়স পর্যন্ত কুকুরের মধ্যেই পার্ভোর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। পার্ভোর চিকিৎসা নিয়ে গত দশ বছর ধরে কাজ করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বক্সিবাজারের বাসবী মিশ্র। তিনি জানান, মানুষের ক্ষেত্রে যেটা ডায়রিয়ার লক্ষণ সেটাই কুকুরের ক্ষেত্রে পার্ভো। পার্ভো দুরকমের হয়। এর পুরো নাম ক্যানাইন পার্ভো ভাইরাস। প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা না করালে পরে আর ওষুধে তেমন কাজ হয় না। কয়েক দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় অধিকাংশ কুকুরের। তার কথায়, ‘প্রতি বছর আমাদের রাজ্যে গড়ে সাত-আট হাজার কুকুর এই রোগে মারা যায়। আমরা খবর পেলেই স্যালাইন ও ওষুধ কিনে নিয়ে গিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করি।’ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ক্যানাইন পার্ভো ভাইরাস বা সিপিভি সংক্রমিত কুকুরের মল কিংবা বমি অন্য কুকুর শুঁকে নিলে সে-ও সংক্রমিত হয়।
×