স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চের একদিকে ছবি আঁকছেন দেশের প্রখ্যাত শিল্পী অলকেশ ঘোষ, অন্যদিকে রঙ্গিন পোশাকে শত শিশুরা সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করছে জাতীয় সঙ্গীত। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমনই এক ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ‘জাতীয় পথ নাট্যোৎসব ২০২০।’
‘জঙ্গী অবক্ষয় দুর্নীতি মানবে না এ সংস্কৃতি’ স্লোগানে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে শুরু হয়েছে এ পথনাট্যোৎসব। রবিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছয় দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী। শুরুতে বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অতিথিরা। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পরে অতিথিবৃন্দ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর লালনের ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি সম্মেলক পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির শিশুরা। এরপর দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পীরা।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অতিথিরা বলেন, দীর্ঘ চড়াই-উতরাইয়ের পর বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত এ পথ নাট্যোৎসব আজ সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমরা শিল্পের মাধ্যমে আমাদের অধিকারের কথা, প্রগতির কথা বলে আসছি। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা এবারও বলতে চাই, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে যেন আমরা আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি, এ প্রত্যাশাই সরকারের কাছে। বক্তারা বলেন, আমাদের নিজের সত্যিকারের ভাষা চেনার দিন ঘনিয়ে এসেছে। পথনাটক জনগণের মনে স্বপ্ন দেখায়। শুধু উৎসবের মধ্যদিয়ে এ নাটক পরিবেশনই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। আমরা এ নাটক নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে চাই। বাংলাদেশ নাট্য আন্দোলনের গর্বিত সংগঠন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন বাংলাদেশে সংস্কৃতিচর্চা ও থিয়েটার আন্দোলনকে বিকশিত করার প্রত্যয়ে গঠিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হয় থিয়েটার আর্ট ইউনিটের পথনাটক ‘খ্যাপা পাগলার প্যাচাল’ ও প্রচ্যনাটের নাটক ‘প্রজাপতির পালা’। প্রথম নাটকটি রচনা করেছেন এসএম সোলায়মান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবী। দ্বিতীয় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম জামাল। এবারের জাতীয় পথ নাট্যোৎসবে প্রতিদিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল চারটায়। উৎসব চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় উৎসব সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। উৎসবে থাকছে ৩২টি নাটক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: