ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের সম্পদ তরুণ সমাজ

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দেশের সম্পদ তরুণ সমাজ

অন্তত দুটি বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে সম্প্রতি শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকার সম্পর্কে নানা গবেষণাধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দেশের সচেতন মানুষ উদ্বেগ বোধ করছেন। কারণ বেকারত্ব যদি বেশি পরিমাণে থাকে এবং তা যদি ধীরে ধীরে না কমে, উল্টো বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন আর উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় থাকে না। মাত্র সেদিন ‘এত শিক্ষিত বেকার কেন’ শিরোনামে একটি বহুল প্রচারিত দৈনিক লিড স্টোরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশে এমএ পাস ৩৪% যুবক-যুবতী বেকার। প্রতি বছর শ্রমবাজারে আসছে ২০ লাখ। চলতি বছরে বেকার ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীর কাছে চাকরি হয়ে উঠেছে ‘সোনার হরিণ’। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিতের হার বাড়ছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা, যা মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়। পরিসংখ্যান বলছে শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীদের হার সবচেয়ে বেশি। স্নাতক ডিগ্রীধারীদের মধ্যে বেকার প্রায় ৩৭ শতাংশ। অপরদিকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীদের মধ্যে বেকার রয়েছেন ৩৪ শতাংশ। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেকারের হার যথাক্রমে ২৭ ও ২৮ শতাংশ। অর্থাৎ কম শিক্ষিতের চাইতে উচ্চ শিক্ষিতদের বেকারের হার বেশি। সরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। এসএসসি, এইচএসসি, বিএ এবং এমএ পাস প্রায় ৬ লাখের বেশি তরুণ-তরুণীর ওপর জরিপ করে এসব উপাত্ত পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও বেকারত্ব তাদের ক্ষেত্রে বেশি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শীর্ষ শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রধানত শিক্ষার নিম্ন মানই এজন্য দায়ী। তাঁরা পত্রিকাটিকে বলেছেন, উচ্চশিক্ষার মান তলানিতে পৌঁছেছে। মানহীনতার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের অভাব, দক্ষ জনবলের ঘাটতি, বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত শিক্ষা দিতে না পারা ও শিক্ষাক্ষেত্রে কম বিনিয়োগ প্রভৃতির ফলেই এমনটা ঘটছে। অর্থনীতিবিদরা বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তথা জিডিপি যে হারে বাড়ছে সে অনুযায়ী দেশে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। শ্রমবাজারের তুলনায় চাকরির বাজার ছোট হওয়ায় সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারীরাও চাকরি পাচ্ছেন না। তাঁদের মতে, বিশে^র উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বেকারত্ব কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। অপরদিকে বাংলাদেশের চিত্র অনেকটাই বিপরীত। এদেশে শিক্ষিতরা অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিতদের চাইতে অধিক হারে বেকার। বিসিএস সূত্রে জানা যায়, চাকরির বাজারে এখন এমন এক ভয়াবহ মন্দা চলছে যে, প্রতি বছর ২০ লাখের বেশি নতুন মুখ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু তার অর্ধেকও কাজ পাচ্ছেন না। আবার যারা কাজ পাচ্ছেন তার হয় অর্ধ বেকার বা ছদ্ম বেকার। কারণ, তারা নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পাচ্ছেন না। ৪০তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছে মোট ৪ লাখ ১২ হাজার। অথচ পদসংখ্যা প্রায় দুই হাজার মাত্র। অর্থাৎ প্রতিটি পদের জন্য ২০০ জনের বেশি প্রার্থী প্রতিযোগিতা করবেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সর্বশেষ ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জরিপ অনুযায়ী দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৮০ হাজার, যা ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ছিল ২৬ লাখ। বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী দেশে কর্মরত মোট জনগোষ্ঠী (শ্রমশক্তি) ৫ কোটি ৮০ লাখ। এর বড় অংশ অর্থাৎ ৫ কোটিই হকার, ফেরিওয়ালা, গৃহকর্মী, গাড়িচালকসহ বিভিন্ন খাতের। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মতে, যারা এক ঘণ্টাও মজুরির বিনিময়ে কোন কাজ পান না তাদের বেকার ধরা হয়। আইএলও প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট এ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম বেকার ছিল বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১০ সালে। তখন বেকার ছিল ২০ লাখ। ২০১২ ও ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২৪ লাখ ও ২৮ লাখে। আইএলও তার পূর্বাভাসে জানাচ্ছে, বাংলাদেশে যে হারে বেকার বাড়ছে তাতে ২০১৯-২০ সালের শেষে তা প্রায় ৩০ লাখে গিয়ে ঠেকবে। তবে বাস্তবে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিস্ময়কর ব্যাপারটি হলো প্রবৃদ্ধি যতই বাড়ছে কর্মসংস্থান ততই কমছে। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার যে হারে বাড়ছে তাকে অনেকেই ‘বিস্ময়কর সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও উচ্চ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। সরকার আশা করছে, নানা প্রতিকূলতার পরও প্রবৃদ্ধি এ বছরে ৮% ছাড়িয়ে যাবে। স্বাভাবিক নিয়মে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়লে কর্মসংস্থানও বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশে তার উল্টোচিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধি যে হারে বাড়ছে কর্মসংস্থান সে হারে বাড়ছে না। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৩ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। ঐ সময়ে গড়ে প্রতিবছর কর্মসংস্থান হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ। অন্যদিকে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন লাখ বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে, যা আগের চেয়ে অর্ধেকে নেমে এসেছে। অর্থনীতিবিদরা বলেন, প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিনিয়োগ বাড়ছে না। আর বিনিযোগ না বাড়লে কর্মসংস্থানও বাড়বে না। বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে কর্মসংস্থানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঘোষণা দেয়া হণ্ড যদিও কোন্ খাতে কতটি হবে। কিভাবে হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বাজেট বক্তৃতায় কোন কিছুই বলা হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সরকারী খাতে প্রতি বছর মাত্র ৫ শতাংশ লোক চাকরি পান। বাকি ৯৫ শতাংশের চাকরির উৎসই হলো বেসরকারী খাত। এদিকে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি অনুপাতে বেসরকারী বিনিয়োগ কয়েক বছর ধরে ২৩ শতাংশে এসে স্থবির হয়ে আছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। দুঃখজনক হলেও সত্য, নানা প্রণোদনা দেয়ার পরও বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়ছে না। এদিকে তরুণ উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এবারের বাজেটে স্টার্ট আপ নামে ১০০ কোটি টাকার পৃথক একটি তহবিল গঠন করা হয়। যুব মন্ত্রণালয় সূত্র জানাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এর কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। যুব মন্ত্রণালয় সূত্র জানাচ্ছে, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে। এর আওতায় মোট যুবশক্তির ২৮ শতাংশকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করা হবে। এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেন বলেন, চাকরির বাজার সবার জন্য খোলা নেই। সুযোগও সীমিত। সরকার যেটা পারে তা হলো চাকরির সুযোগ তৈরি করে দেয়া। এ লক্ষ্যে প্রশিক্ষণসহ নানামুখী কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণের ওপর। কারণ, সাধারণ শিক্ষায় লেখাপড়া শিখে চাকরি পাওয়ার সুযোগ কমে আসছে। বর্তমান সময়ে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে বিশেষায়িত ও কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বেশি। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ উচ্চ শিক্ষিতের সরকারী চাকরি, বিশেষ করে বিসিএস ক্যাডারের প্রতি ঝোঁক বেশি। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিসিএস ক্যাডারে চাকরি পেলে কম সময়ে অর্থবিত্তের মালিক হওয়া যায়। ক্ষমতাও প্রয়োগ করা যায় নানাভাবে। সরকারী চাকরিতে বর্তমানে বেতন-ভাতাসহ নানান সুযোগ-সুবিধাও বেশি। সেজন্যই তারা সরকারী চাকরির জন্য বেশি উৎসাহী। শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রাক্তন অ্যধাপক, টিআইবির নতুন ন্যায়পাল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, এদেশের উচ্চশিক্ষার মান তলানিতে পৌঁছেছে। ভাষা শিক্ষার মানও অত্যন্ত নিস্ন। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এ খাতে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে হবে। এজন্য দশ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা নিতে হবে। মান বাড়াতে হলে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষায়। প্রতি বছর দুই থেকে তিন শতাংশ হারে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। না হলে কর্মহীনের সংখ্যা আরও বাড়বে। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিস্ন। এ খাতে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, দেশের শ্রমবাজারে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল থাকলে বেশি বেতন দিয়ে বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে না। অর্থনীতিবিদ জায়েদ বখত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার কারিকুলাম বদলাতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে বাস্তবতার অসামঞ্জস্য রয়েছে। দেশের অনেক শিল্পোদ্যোক্তাই তাদের প্রতিষ্ঠানে শ্রীলঙ্কা থেকে একাউন্ট্যান্ট নিয়ে এসেছেন। তার মানে এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যারা বের হচ্ছে তাদের শিক্ষা মানসম্মত নয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জায়েদ বখত আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার চেয়ে এখন বেশি নজর দিতে বিশেষায়িত শিক্ষার প্রতি আরও বেশি সংখ্যক স্পেশাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে হবে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা দিতে হবে। জিডিপি বাড়লেও কর্মসংস্থান কমছে কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একেবারেই বাড়ছে না তা ঠিক না। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লাগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, শ্রমশক্তির তুলনায় চাকরির বাজার ছোট। গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে, কিন্তু মান নেই। প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বিনিয়োগবিহীন। ভোগ ও সরকারী খাতে বেশি ব্যয় হচ্ছে। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ স্থবির। এ খাতে বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে না। নানা বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের অভিমত দিয়ে লেখাটি সমৃদ্ধ করার পর আরও যা যা অনুভব করছি তা হলো- এক. যে হারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে তাতে রাস টানতে হবে। কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধিই হলো বেকার তরুণ-তরুণীর, কি শিক্ষিত, কি অশিক্ষিত বেকার সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। তাই ‘এক দম্পত্তি এক সন্তান’ নীতি সরকারীভাবে গ্রহণ করে তার কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। দুই. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির বিশেষ বিভাগ খুলে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির অতিরিক্ত দায়িত্ব দিতে হবে। এটা হবে বর্তমান টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটগুলো থেকে উন্নততর দক্ষতা তৈরির শিক্ষালয়, যাতে দক্ষ জনসংখ্যা দ্রুত আরও বেশি পরিমাণে বাড়ে। তিন. মাদ্রাসাগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। চার. সকল স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে এবং সে লক্ষ্যে প্রতি জেলায় উন্নতমানের শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে হবে। পাঁচ. উন্নত ঐ শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে অধিকতর সংখ্যক প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকের আবাসিক ব্যবস্থাও গড়ে তুলতে হবে। ছয়. বিনিয়োগবান্ধব ব্যাংক ঋণ ও সুদ ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে হবে। লেখক : সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত [email protected]
×