ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটার উপস্থিতি কম হলেও পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট সিইসি

প্রকাশিত: ১০:৪০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভোটার উপস্থিতি কম হলেও পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উত্তরা পাঁচ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ভোটারের উপস্থিতি এখন পর্যন্ত ভাল না। পরে আসবে আশাকরি। তবে ভোট দিতে এসে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদাকেও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে ভোট দিতে হয়েছে। নির্বাচনের গোলযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এমন নির্বাচন তিনি চাননি। এখনও চান না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি নির্দেশ, এমন ঘটনা যদি ঘটে তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচনী পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রার্থী, ভোটার এবং বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন ভোটের পরিবেশ যেন বজায় থাকে। তবে এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন অভিযোগ পাননি বলে জানান তিনি। আমরা ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। আমাদের যে দায়িত্ব সেটা পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করেছি। প্রস্তুতির কোন ঘাটতি নেই। তিনি বলেন, যারা প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন ভোটার আনার দায়িত্ব তাদের বেশি। তিনি বলেন, কোথাও থেকে আমার কাছে কোন অভিযোগ নেই। আসার সময় টেলিভিশনে দেখলাম, ভোটাররা যাচ্ছে। ইভিএমের বিষয়ে মানুষের ইতিবাচক সাড়া আছে। যাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তারা বুঝে নিচ্ছে। বুঝে নিয়ে ভোট দিয়ে তারা খুশি। ইভিএমে অনেকে ভোট দিতে পারছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, ৩-৪টি উপায় আছে। আইডি কার্ড দেখতে পারে, পুরনো কার্ড দেখতে পারে। নম্বর মেলালে ছবি আসবে, ভোট দিতে পারবে।” ভোটারের উপস্থিতি কম কেন, ইসি কি আস্থা তৈরি করতে পারেনি-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা কথা না। পরে আসবে। ভোটার আসবে। এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট যারা আছে তাদের প্রতি কড়া নির্দেশ- এরকম অভিযোগ যদি পায় সঙ্গে সঙ্গে সেই এজেন্টকে আবার কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যারা এজেন্ট, তাদের প্রতি অনুরোধ এরকম কোন ঘটনা যদি ঘটে, আশপাশে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে যাবে। বাইরে এসে নিকটবর্তী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা যারা আছে তাদের সাহায্যে ভেতরে যাবে। এজেন্ট বের করে দিয়েছে এমন প্রত্যক্ষ কোন অভিযোগ আসেনি। যারা এজেন্ট তাদের সামর্থ্য থাকতে হবে টিকে থাকার। কেউ বেরিয়ে যেতে বলল, আর বেরিয়ে যাবে সেটা ম্যানেজ করা কঠিন। এজেন্ট যেন তাৎক্ষণিকভাবে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে যায়। বলল, বেরিয়ে গেছি- এর না আছে অভিযোগ, না আছে ভিত্তি। এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যেকোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পেলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নির্বাচন বন্ধ করে দেব।
×