ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীমঙ্গলের টি জাদুঘর দেড় শ’ বছরের ইতিহাস জানাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

শ্রীমঙ্গলের টি জাদুঘর দেড় শ’ বছরের ইতিহাস জানাচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শ্রীমঙ্গলের টি রিসোর্টের গেটেই চার কামরার ‘জাদুঘর’। এখানেই রয়েছে বাংলাদেশে দেড় শ’ বছর আগে চা চাষের জানা-না জানা সব ইতিহাস। ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে লাউয়াছড়া সড়কে এই চা মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়। এখনও চা সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিত্যক্ত ভবনের ছোট সেই চারটি ঘরেই ‘বন্দী’ এই জাদুঘর। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কমলগঞ্জ ও শমশের নগরের দিকে চলে গেছে যে সড়ক- সেটি ধরে দুই কিলোমিটারের মতো এগোলেই বাংলাদেশ চা-বোর্ডের ‘টি রিসোর্ট এ্যান্ড মিউজিয়াম’। বাগান ঘেরা এ চায়ের জাদুঘরে বাংলাদেশের চা-শিল্পের প্রায় দেড় শ’ বছরের ইতিহাস ফুটে উঠেছে নানা সংগ্রহে-স্মারকে। সড়কের পাশ ঘেঁষা টিলার ওপর ছড়িয়ে থাকা টিনশেড ঘরগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে ঢুকতেই বঙ্গবন্ধুর আপদমস্তক প্রতিকৃতি। খালি চেয়ার-টেবিলের পেছনে সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত বঙ্গবন্ধুর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা মনোমুগ্ধকর একটি ছবি; যা যে কাউকেই আকৃষ্ট করে। ১৯৫৭-৫৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময়ে তিনি শ্রীমঙ্গল নন্দরানী চা বাগানে এসেছিলেন। তখন যে চেয়ারে বসে মিটিং করেছিলেন টি মিউজিয়ামের সংগ্রহশালায় রয়েছে সেই চেয়ারটিও। চা জাদুঘরে চা গাছ ব্যবহার করেই আসবাব তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোর ওপরই প্রদর্শন করা হয়েছে সংরক্ষণ করা নানা জিনিসপত্র। এই জাদুঘরে রয়েছে ব্রিটিশ আমলে চা-বাগানে ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী। জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে- প্রাচীনকালের চা সংগ্রহের চয়নযন্ত্র, খস্তি, বাগানের কাদা পরিষ্কারের জন্য লোহার পাপোশ, ইংরেজ সাহেবদের হাড়ের লাঠি, কাটা কোদাল, তৎসময়ে চা শ্রমিকদের ব্যবহৃত গহনা, ছেওরাছাড়া চা বাগানের প্রাচীন মুদ্রা, ব্রিটিশ আমলের রেডিও, নয়াপাড়া চা বাগান থেকে সংগ্রহ করে এনে রাখা জীবাশ্ম, ব্রিটিশ আমলে ব্যবহৃত কেরোসিন চালিত ফ্রিজ, চা বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা বিশ্বযুদ্ধের সময় বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ।
×