ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

এক্সপেরিমেন্টালে মঞ্চস্থ হলো ‘টুয়েলভ অ্যাংরিম্যান’

প্রকাশিত: ১১:১২, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

এক্সপেরিমেন্টালে মঞ্চস্থ হলো ‘টুয়েলভ অ্যাংরিম্যান’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তারুণ্যনির্ভর নাট্যদল ওপেন স্পেন। নাট্যদলটির প্রথম প্রযোজনা টুয়েলভ অ্যাংরি ম্যান। সত্যের প্রতি অবিচল থাকার গল্পময় দর্শকনন্দিত নাটকটি মঞ্চস্থ হলো বৃহস্পতিবার। এদিন সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলের নাটকটি প্রদর্শনী হয়। রেজিনাল্ড রোজের লেখা ‘টুয়েলভ অ্যাংরি ম্যান’ মূলত ১৯৫৭ সালে নির্মিত বিশ্বব্যাপী সমাদৃত মার্কিন চলচ্চিত্র। যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। ঢাকার মঞ্চে এটি নির্দেশনা দিয়েছেন এম আরিফুর রহমান। নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, একটি খুনের বিচারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার জন্য এক টেবিলে বসেছেন ১২ জন জুরি। একজন অপরাধী সত্যিই নিজ বাবার খুনের অপরাধ করেছে কিনা তা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের মাধ্যমে ১২ জন জুরির বিশ্লেষণ চলে নাটকজুড়ে। কারও পকেটে সন্ধ্যার সার্কাস শোর টিকেট, কারও অন্য কাজের তাড়া, কারও বা আজন্ম ঘৃণা বস্তির মানুষের প্রতি, কারও বা বিশেষ কোন মতই নেই নিজের ! নানা পেশার, নানা বয়সের এমন বিচিত্র চরিত্রের ১২ জন মানুষ বিচার করতে বসেছেন বস্তিতে বেড়ে ওঠা এক উনিশ বছরের তরুণের। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে তার বাবাকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে। প্রাথমিকভাবে সবাই একবাক্যে ছেলেটিকে দোষী সাব্যস্ত করে চূড়ান্ত রায় দিতে প্রস্তুত। অধিকাংশ একমত হলেও বাদ সাধলেন একজন জুরি। ১২ জন জুরির মাঝে ১১ জনই প্রাথমিকভাবে অপরাধীর অপরাধ নির্ণয় করে রায় দেন যে ছেলেটি দোষী। তবে মিথ্যাকে ছাপিয়ে প্রকৃত সত্যের সন্ধান করেন একজন। সেই বিচারক জানান যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের অবকাশ হয়ত আছে। তাই তিনি আলোচনার আহ্বান জানান। আলোচনা চলতে থাকে যুক্তির নিরিখে। যুক্তির খেলায় টলে যান কেউ কেউ। বাড়ে মতানৈক্য, তীব্রতর হয় বিভেদ, চরম পর্যায়ে পৌঁছে বাগ্বিত-া। একে একে প্রত্যেক জুরি অবস্থান বদলান, বাদ থাকেন একজন বয়োবৃদ্ধ জুরি। এক সময় তিনিও হার মানেন। নিজের ছেলের হাতে লাঞ্ছনার স্মৃতি তাকে বিপর্যস্ত করে রেখেছিল, যা এই ছেলেটির বিষয়ে তাকে নির্দয় করে তোলে। মতৈক্য আসে ছেলেটিকে নির্দোষ ঘোষণায়। যুক্তিতর্কে নাটকটি যেন সমাজের অনেক চিত্রকেই সামনে নিয়ে আসে। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী আরিফুর রহমান, মেহেদী হাসান, এস এম মুসাব্বীর তানিম, সৈয়দ এজাজ আহমেদ, রায়হান, আহমেদ দীপ, আবু হাসান মাহি, ওয়ালিদ আদনান, এম আরিফুর রহমান, সীমান্ত হক, শরিফ এম তারিক, মোঃ নাজমুল হোসেন, ফাইরুজ আলম ও আনিসুর রহমান রাব্বী। ওপেন স্পেস থিয়েটারের দলনেতা মেহজাবিন চৌধুরী জানান, এই দলের বেশিরভাগ সদস্য একসময় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা ক্লাবে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত। পাশাপাশি থিয়েটার করছেন।
×