ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্ক্রীনিং ছাড়া কাউকেই দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না

প্রকাশিত: ১১:০৯, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

স্ক্রীনিং ছাড়া কাউকেই দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে এই মুহূর্তে স্ক্রীনিং ছাড়া কাউকেই দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। তিনি বলেন, বিদেশ ফেরত সকল ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য প্রবেশ গেটে স্ক্রীনিং মেশিন বসানো হয়েছে। স্থল ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রবেশের বেলায়ও একই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে এই মুহূর্তে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি স্ক্রীনিং মেশিন রাখা আছে। এর একটি ভিআইপি প্রবেশ দ্বারে, একটি সাধারণ প্রবেশ দ্বারে এবং অন্যটি স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য স্থল, নৌবন্দরেও স্ক্রীনিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এরপরও বিমানবন্দর সংলগ্ন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একটি আলাদা আইসোলেটেড কেবিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরে প্রতিটি যাত্রীর জন্য একটি করে করোনা ভাইরাস নির্দেশিকা গাইড রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে জরুরী হটলাইন মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডাঃ মিলন হলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুুর্ভাব সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চীন থেকে ৩৭০ জন দেশে ফিরতে চান বিডিএফ সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, করোনা ভাইরাস ইস্যুতে চীন থেকে ৩৭০ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরতে চান। ১৫ জন ছাত্র দেশে না আসার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। ছাত্ররা বলছে, এ মুহূর্তে দেশে গেলে এ রোগটি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই দেশে না যাওয়াই ভাল। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আটকা পড়া বাংলাদেশী নাগরিকদের আপডেট জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, চীন সরকার যখন তাদের অনুমতি দেবে তারা তখন আসবেন। আমাদের ৩৭০ জন নাগরিক দেশে আসতে চান। তাদের আলাদাভাবে রাখতে হাসপাতালে বিশেষ আয়োজন করেছি। আনার পরে দায়িত্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। তবে আনন্দের বিষয় আমাদের কেউ আক্রান্ত হননি।
×