ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

উবাচ

ঘরের বিষয় স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই! লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কি? যদি এমন ধরে নেয়া হয় পাঁচ জন কমিশনারের মধ্যে চার জন কোন একটি বিষয়ে একমত হলো একজন ভিন্নমত পোষণ করল। তাহলে চারজনের মতামত গ্রহণ করাই গণতান্ত্রিক। এটিই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। এখন চার জন একটি বিষয়ে একমত হলো আর তারপরও একজনের মতামতকেই প্রাধান্য দিলে কি সেটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতো। নিশ্চয়ই হতো না। আরও স্পষ্ট করে বললে একজন প্রার্থী নির্বাচনে ৩০ ভোট পেলেন আরেকজন প্রার্থী ভোট পেলেন ১০টি। এখন নির্বাচিত কে হবেন, নিশ্চয়ই যে প্রার্থী ৩০ ভোট পেয়েছে তিনি। এখন ১০ ভোট পাওয়া প্রার্থী যদি মনে করেন না এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো না তাহলে তার এই চিন্তা কি যৌক্তিক। নিশ্চয়ই না। এই পরিস্থিতিতে যে কেউ মতামত প্রকাশ করলে করতেই পারেন। এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্যও বটে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থেকে এ ধরনের বক্তব্যকে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করা যায় কি? বিশেষত এ ধরনের সাংবিধানিক পদে থেকে শালীন এবং যৌক্তিক গণতন্ত্র চর্চা করা উচিত। কারণ একজন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের আগে কোন উস্কানি দিলে তা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আর নির্বাচনের সঙ্গে কোটি কোটি মানুষের চিন্তা এবং আবেগ জড়িত। মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন সভায় আমার প্রস্তাব বা সুপারিশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে অগৃহীত হয়। আমাকে সংখ্যালঘিষ্ঠ হিসেবে না দেখে আমার বক্তব্যের বিষয় বস্তুর মেরিটকে বিবেচনায় নেয়া সমীচীন বলে মনে করি। আমার ধারণা কমিশন সভায় আমার বক্তব্য প্রদানের স্থান সংকুচিত হয়ে পড়েছে।’ নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরীণ এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা যায় কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যখন বিশেষ মতলব থাকে যা বাস্তবায়ন করা কঠিন তখনই এসব বাইরে প্রচার করা হয় বলেও অনেকে মনে করেন। অন্য কোন নির্বাচন কমিশনারকে এভাবে কথায় কথায় সংবদ সম্মেলন করতে দেখা যায় না। তাহলে কি বিষয়টি এমন মাহবুব তালুকদারই একমাত্র সব কিছু বোঝেন আর কেউ কোন কিছু বোঝেন না। ওখানে আর যারা আছে তারা শুধু শুধুই নির্বাচন কমিশনে যান আর আসেন বিষয়টিওতো এমনও নয়। শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার একটি পক্ষের হয়ে কথা বলছেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ভোটের আগে সেটি আরও বেড়ে যায় বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মাহবুব তালুকদার ইদানীং বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। এখন মাহবুব তালুকদারের বিষয়ে কেউ যদি প্রশ্ন তোলেন তিনি পক্ষপাতদুষ্ট তাহলে তিনি কি বলবেন। অন্য কোন নির্বাচন কমিশনার কোন বিশেষ দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য কেউ এখনও দেয়নি। ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি মাহবুব তালুকদার প্রসঙ্গে বলেন, এসব ঘরের বিষয় বাইরের লোক জানবে কিভাবে? ইলেকশন কমিশনের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেখানে একজন কমিশনার ভিন্নমত পোষণ করতেই পারেন। কিন্তু তিনি কথায় কথায় যেভাবে তাদের ঘরের বিষয়, ইন্টারনাল প্রসিডিং, বাইরে নিয়ে আসছেন, সেটা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য নয়। কোমরে দড়ি স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। দেশের আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি। কথায় কথায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে তিনি মাঠ গরম করতেন। অতীতে এভাবে আর কোন প্রধান বিচারপতি কথা বলেছেন, এমন নজির নেই। এখনও তিনি তাই করছেন। বিএনপি-জামায়াত সমর্থক কতিপয় সাংবাদিক পট পরিবর্তনের পর দেশ ছেড়েছেন। এরা পশ্চিমা বিশে^ বসে ইউটিউব চ্যানেল খুলে নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। এস কে সিনহা এদের কারো কারো সঙ্গে সাক্ষাতকার দিয়ে চলেছেন। সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে যে ভাষায় তিনি কথা বলেন তা রীতিমতো কুরুচিপূর্ণ। প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন তিনি প্রকাশ্য আদালতে স্বীকার করেছেন তিনি আসামি পক্ষের অনুরোধ বেঞ্চ গঠন করেছেন। একজন প্রধান বিচারপতি এটা পারেন কি না বিষয়টি নৈতিক কি না এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আদালতেই বলেছেন এসব বন্ধ করেন আদালতের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবেন না। এস কে সিনহার বিরুদ্ধে যখন ক্রমান্নয়ে সব বিষয় প্রকাশ্যে এলো তখন দেখা গেল তার এবং তার ভাইয়ের এ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে কোটি কোটি টাকা। আবার সেসব টাকা উঠেও গেছে। সেই টাকা কিভাবে এলো কারা দিলো এসব কিছুর প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু এর আগেই তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন। নানা সময়ে এমনভাবে লুটপাটকারীরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তাদের ধরেও আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ছাড় দেয়া হবে না। তাকে কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে দেশে আনা হবে। তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। এখন দেখা যাক তাকে আনা সম্ভব হয় কি না। মুখিয়ে রয়েছে! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মানুষ ধানের শীষের ভোট দিতে মুখিয়ে আছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ঢাকার জনগণ ১ ফেব্রুয়ারি ধানের শীষের ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে কারো মনে কোন সন্দেহ আছে বলে আমরা মনে হয় না। অবশ্যই বিএনপির সমর্থকরা বিএনপিকেই ভোট দেবে। এক্ষেত্রে কারো কোন বাধা দেয়ার কিছু নেই। প্রতিরোধ করারও কিছু নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা ঢাকা এখন উৎসবের নগরী। এবার নির্বাচনে সব থেকে বেশি গান বাজনা হচ্ছে। প্রত্যেক প্রার্থীই নিজেদের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। নির্বাচনের এই গণতান্ত্রিক পরিবেশে অনেক দিন পরে ফিরেছে বিএনপি। বিগত সংসদ নির্বাচনেও বিএনপিকে সেভাবে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। এবার পাশাপাশি দড়িতে ঝুলছে আওয়ামী লীগ বিএনপির পোস্টার। এই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য এতদিন বিএনপির অনাগ্রহের কারণে দেশের মানুষ দেখতে পারেনি। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই তাই বলে পরাজিত হওয়ার শঙ্কায় নির্বাচনই করা যাবে না এই নীতি থেকে বিএনপি বের হয়ে আসায় এবার তারা সাধারণ মানুষের ধন্যবাদও পেয়েছে। তাহলে এতদিন যে বিএনপি দেশে গণতন্ত্র নেই বলে প্রচার করছে তা ¯্রফে এক ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য। বলার জন্যই বলেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বুক বেঁধে নামতে হবে, সাহস নিয়ে নামতে হবে। আমরা যদি নামি এরা পরাজিত হবে। এদেরকে বিদায় করতে হলে সকলকে জেগে উঠতে হবে। আসুন ১ তারিখে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে, ১ তারিখের পরও ভূমিকা রাখতে হবে।
×