ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটালেন তাপস ও আতিক

প্রকাশিত: ১১:০৪, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটালেন তাপস ও আতিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রচারের শেষ দিনে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ঢাকার দুই মেয়র প্রার্থী। চষে বেড়িয়েছেন বস্তি, রাজপথ থেকে শুরু করে শহরের আনাচে-কানাচে। দুই মেয়র প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও ভোট প্রার্থনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জনসংযোগকালে বিভিন্ন পথসভায় দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপস গোপীবাগে সংঘর্ষে গুলির ঘটনায় অস্ত্রসহ এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতারের কথা তুলে ধরে বিএনপির বিরুদ্ধে ভোটের দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৭০ কেন্দ্র দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, এভাবে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হলে ভোটারসহ নগরবাসী তাদের প্রতিহত করবে। ভোটের দিন বিএনপির সন্ত্রাস সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উত্তরের মেয়র প্রার্থী আতিকুলও। আওয়ামী লীগ মনোনীত উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম জনসংযোগ ও পথসভায় দেয়া বক্তব্যে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, কোন অপশক্তি ভোটের দিন আওয়ামী লীগের গণজোয়ার থামিয়ে রাখতে পারবে না। দিনভর প্রচার শেষে রাত নয়টায় নগরীর আশা-সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। এ সময় নগরবাসীর বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দেন বর্তমান এই মেয়র। এক ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে দুই সিটিতে লড়ছে নয় দলের ১৩ মেয়র প্রার্থী। ডিএসসিসিতে সাত মেয়র প্রার্থী হলেন- শেখ ফজলে নূর তাপস (আওয়ামী লীগ), ইশরাক হোসেন (বিএনপি), মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন (জাতীয় পার্টি), মাওলানা আবদুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন), বাহরনে সুলতান বাহার (এনপিপি), আক্তারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ (বাংলাদেশ কংগ্রেস) এবং আবদুস সামাদ সুজন (গণফ্রন্ট)। ডিএনসিসির বৈধ ছয় মেয়র প্রার্থী হলেন- আতিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), তাবিথ আউয়াল (বিএনপি), আহমদ সাজেদুল হক (সিপিবি), শাহিন খান (পিডিপি), ফজলে বারী মাসুদ (ইসলামী আন্দোলন) এবং আনিসুর রহমান দেওয়ান (এনপিপি)। পুরো নির্বাচন ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এবারে দুই সিটি নির্বাচনে প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। উত্তরে ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন এবং দক্ষিণে ২৭ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন ভোটার রয়েছেন। ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি এবং ডিএসসিসির ৭৫ ওয়ার্ডে সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ১২৪টি। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল দুই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি ১৭০ কেন্দ্র দখলের ষড়যন্ত্র করছে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, বিএনপি চিহ্নিত ও দাগি সন্ত্রাসীদের ঢাকায় জড়ো করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন কেন্দ্র পাহারার নামে বিএনপির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পরিবেশ বিঘিœত করতে পারে। বৃহস্পতিবার দলের সাধারণ সম্পাদকের এই আশঙ্কার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করলেন তাপস। বলেছেন, ভোটের দিন ১৭০ কেন্দ্র দখলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আগামীকাল শনিবার ভোট সামনে রেখে প্রচারের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপীবাগ এলাকায় গণসংযোগ শুরুর আগে এক পথসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, আমি গতকাল লক্ষ্য করেছি যে, বিএনপি প্রার্থীর পিএস হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তি যিনি সেদিন গোলাগুলি করেছেন অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়েছেন, সেই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এইভাবে সন্ত্রাসীরা যদি কোন ভোট কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করে তাহলে ভোটারসহ ঢাকাবাসী সেটা প্রতিহত করবে। গত রবিবার দুপুরে গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড়ে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ ডজনখানেক মানুষ আহত হন। সে সময় গুলির ঘটনায় একটি পিস্তলসহ আরিফুল ইসলাম (৪৭) নামে ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেছেন, আমরা জানতে পারছি সে বিএনপির পার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস বলে পরিচয় দিত। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল সেদিন গুলি ছোড়ার কথা স্বীকারও করেছে। ঘটনাস্থলে পাওয়া গুলির খোসা এবং আরিফুলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলের ক্যালিবার এবং ৫০ রাউন্ড গুলি একই ধরনের বলে জানান তিনি। নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসী কর্মকা- থেকে ঢাকাবাসীকে পরিত্রাণ দেয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আমরা কিছুটা শঙ্কিত, যদিও আমি আশা করব সকল ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন এবং তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। কয়েক দিন আগে আমরা অত্র এলাকায় দেখেছি যে, আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থী রোকনউদ্দিনের ক্যাম্পে সেখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে আক্রমণ করেছেন। আমরা এটাও খবর পেয়েছি, ১৭০ কেন্দ্র দখলের একটা ষড়যন্ত্র ও পাঁয়তারা হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব যাতে তারা আশু পদক্ষেপ নেয়, যাতে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। আমি বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকলে নৌকার বিপুল ভোটে বিজয় হবে। প্রচারের শেষ দিনে ঢাকাবাসীকে উন্নত ঢাকা গড়তে নৌকার পক্ষে রায় দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফজলে নূর তাপস বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ঢাকাবাসী ১ ফেব্রুয়ারি নৌকা মার্কায় আমাকেসহ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচিত করে তাদের সেবক হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে উন্নত ঢাকার পক্ষে তারা রায় দেবেন। আমাদের উন্নয়নের রূপরেখা এবং নির্বাচনের যে ইশতেহার দিয়েছি, ঢাকাবাসী সেটা সাদরে গ্রহণ করেছে। আমরা স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি এবং ঢাকাবাসী অধীর আগ্রহে আছে ভোট দেয়ার জন্য। উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে আমরা যে নবসূচনা ও নবযাত্রার প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনে নেমেছি সেটি শুরু করতে নৌকার বিপুল জয় উপহার দেবে। ঢাকাবাসীর উদ্দেশে তাপস বলেন, আমাদের এই প্রাণের ঢাকা যে ঢাকাকে আমরা ভালবাসী, স্বপ্ন দেখি, সেই ঢাকাকে উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তোলার এটাই সুযোগ। দলমত নির্বিশেষে আপনারা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন এবং আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে একজন যোগ্য ব্যক্তিকে আপনাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবেন। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে আপনাদের রায় প্রদান করবেন। তাপস বলেন, আপনাদের প্রত্যেকটি ভোট আমাকে ও আমাদের কাউন্সিলরদের শক্তি সঞ্চয় করবে, যা থেকে সকল প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতায় নিবেদিত হয়ে আমরা কাজ করব। এর আগে গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের কাছে পৌঁছলে নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে স্লোগানে স্লোগানে ফজলে নূর তাপসকে অভ্যর্থনা জানান। পরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারে যোগ দেন তিনি। এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে চায় নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। নির্বাচনী প্রচারের শেষদিন বৃহস্পতিবার ভাসানটেক বাজার এলাকায় গণসংযোগে গিয়ে তিনি বলেন, কর্মী-সমর্থকদের যে ভালবাসা তাতেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। শেষ দিনের প্রচারে তিনি ছিলেন একেবারেই স্বভাব সুলভ। যাকে সামনে পেয়েছেন বুকে জড়িয়ে ধরেছেন। সালাম দিয়েছেন। হাত মিলিয়েছেন শিশুদের সঙ্গে। ভাসানটেক এলাকায় এক নগ্ন শিশুকে কোলে নিয়েও তাকে প্রচার চালাতে দেখা গেছে। পাজামা পাঞ্জাবি পরে বস্তিতে বসে শিশুদের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা গেছে এই মেয়র প্রার্থীকে। মায়ের কোলে থাকা শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। বস্তিতে খাবারও খেয়েছেন তিনি। এক প্রশ্নে আতিকুল বলেন, অবশ্যই, অবশ্যই শতভাগ আশাবাদী। আমি বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ। আমি যেখানেই গিয়েছি সেখানেই মানুষের স্রোত দেখেছি। পথসভা আর পথসভা থাকে না, সেটা রূপ নেয় জনসভায়। যেখানে জনসভা করি সেটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে। মানুষের জোয়ার নেমেছে। নির্বাচনী প্রচারে আবাল-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী, শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, চিত্রজগতের মানুষ সবাই রাস্তায় নেমেছে বলে জানান তিনি। আমি তাই মনে করি আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি জনগণের ভালবাসায় নৌকা জিতবেই জিতবে ইনশাআল্লাহ। দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য, সুস্থ, সচল, সুন্দর ঢাকা গড়তে আপনাদের মূল্যবান ভোটটি নৌকা মার্কায় দেবেন। ১ ফেব্রুয়ারি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল বলেন, যত বেশি ভোটার আসবেন নৌকায় ততবেশি ভোট পড়বে। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার দেখে প্রতিপক্ষ টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন বানচাল করার কোন ইচ্ছা নেই বলেও মন্তব্য করেন আতিকুল ইসলাম। নির্বাচন হবেই হবে। কোন অপশক্তি এই গণজোয়ার থামিয়ে রাখতে পারবে না। শুনেছি বাইরে থেকে প্রচুর লোক এনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঢোকানোর পাঁয়তারা চলছে। বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এনে তারা সন্ত্রাস করতে চায়। তারা ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে চাচ্ছে। নির্বাচনের আগের দুইদিন নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষার অনুরোধ করেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় ডিএনসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সালেক মোল্লার পক্ষেও ভোট চান তিনি। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভাসানটেক বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। তিনি ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চান, নৌকা মার্কার লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, বাঁধন, সঙ্গিত শিল্পী হায়দার প্রমুখ। এরপর তিনি আরও বেশকিছু এলাকায় জনসংযোগ করেন। শেষ দিনে স্বামীর হয়ে ভোট চাইলেন আতিকুলের স্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে সবখানেই নৌকার পক্ষে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের স্ত্রী ডাঃ শায়লা শাগুফতা ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারে যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই নৌকার পক্ষে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখতে পাচ্ছি। জনগণ বিশ্বাস করে, তিনি (আতিকুল ইসলাম) নির্বাচিত হলে নগরবাসীর জন্য কাজ করে ঢাকা শহরে পরিবর্তন আনতে পারবেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে মোহাম্মদপুর জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় গণসংযোগের সময় এসব কথা বলেন ডাঃ শায়লা শাগুফতা ইসলাম। ডাঃ শায়লা শাগুফতা ইসলাম বলেন, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নয় মাস তিনি (আতিকুল ইসলাম) নগরবাসীর জন্য কাজ করে গেছেন। এই নগরীর উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা তার পরিবারের সদস্য। কিন্তু তিনি এই নগরীর সব নাগরিককে পরিবারের সদস্য মনে করেই কাজ করে গেছেন। ডাঃ শাগুফতা বলেন, এখন যখন ভোট চাইতে যাচ্ছি, সবখানেই দেখি সবাই বলছেন উন্নয়নের কথা। সবাই তার নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন। সবাই আমাকে স্বাগত জানাচ্ছেন, বলছেন নৌকা মার্কাতেই সবাই ভোট দেবেন। ভোটারদের ১ ফেব্রুয়ারি ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে ডাঃ শাগুফতা ইসলাম বলেন, ব্যক্তিজীবনে তিনি (আতিকুল ইসলাম) সবসময়ই যে কোন মানুষের বিপদে ছুটে যান। তিনি বিশ্বাস করেন, এই নগরীর সবাই তার আপনজন। যখন বিজিএমইএ সভাপতি ছিলেন, তখন তিনি দেশের সব শ্রমিক ভাই-বোনদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য চেষ্টা করে গেছেন। যে নয় মাস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই সময়ে চেষ্টা করেছেন নগরবাসীর মুখের চিন্তারেখা দূর করতে। তাই নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানাই আমি। আতিকুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কা হলো উন্নয়নের মার্কা। আর সবাই সেই মার্কাতেই ভোট দেবেন বলে আশা করি। শায়লা শাগুফতা ইসলামের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আতিকুল ইসলামের আত্মীয়-স্বজন, অভিনেত্রী তারিন জাহান, অভিনেতা আজিজুল হাকিমসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×