ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৩০ হাজার বহিরাগত ঢাকায়

প্রকাশিত: ১১:০৩, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

৩০ হাজার বহিরাগত ঢাকায়

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সারাদেশ থেকে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় ৩০ হাজার বহিরাগত ঢুকে পড়েছে রাজধানীতে। প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাজধানী ঢাকার ৫০ থানা এলাকায় ঢোকানো হয়েছে বহিরাগতদের। সাধারণ মানুষজনের বেশে অবস্থান করছে তারা। যেসব বহিরাগত ঢুকেছে তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামি। এর মধ্যে আগুন সন্ত্রাস, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক মামলার আসামি, সন্ত্রাসী, দাগি অপরাধী, গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি রয়েছে। নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিনে ও পরে যে কোন সময়ে নাশকতা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যকর ঘটনা ঘটিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কেন্দ্র করে শক্তির মহড়া প্রদর্শন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত করার লক্ষ্য নিয়ে বহিরাগতদের রাজধানী ঢাকায় জড়ো করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরনের খবর পেয়ে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হোটেল, মেস, বাসাবাড়িসহ সন্দেহজনক স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ব্লক রেইড দিচ্ছে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে বলা হয়েছে, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী কেন্দ্র পাহারা ও নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলে তাদের জড়ো করা হয়েছে রাজধানীর ৫০ থানা এলাকায়। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রায় আড়াই হাজার ভোট কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় দেখা যেতে পারে বহিরাগতদের। নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রেও এজেন্ট হিসাবে বহিরগতদের দেয়া হতে পারে এমন তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। নির্বাচনী আইনানুযায়ী ঐ এলাকার ভোটার ছাড়া অন্য ব্যক্তি নির্বাচনী এজেন্ট হতে পারে না। সেই বিবেচনা থেকে তারা হয়তো নির্বাচনী এজেন্ট না করতে পারলেও এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোর চারপাশে থাকবে বহিরাগতরা। ঢাকায় যারা বিএনপির নেতৃস্থানীয় তারা পরিচিত মুখ এবং তাদের ভয় বা প্রলোভন দেখিয়ে আওয়ামী লীগ করায়ত্ত করতে পারে। এজন্য তারা ঢাকার বাইরে থেকে অপেক্ষাকৃত আনকোরা, অপরিচিত মুখ নিয়ে এসেছে। যারা একাধিক মামলার আসামি, যারা ভয়ভীতিতে দমে যাবে না এবং যারা অপরিচিত হওয়ার কারণে কেনাবেচার সুযোগ থাকবে না। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় যারা বিএনপির নেতাকর্মী, তারা যদি অঘটন বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা সহজ হবে। কিন্তু যারা ঢাকার বাইরে থেকে আসছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা সহজ নাও হতে পারে। হাতে নাতে কেউ গ্রেফতার হলে পুলিশের কাছে ভুয়া নাম ঠিকানা দিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সহজ হবে। সেক্ষেত্রে বহিরাগতদের যেই রাজনৈতিক শক্তি জড়ো করেছে তারাই জামিনে মুক্ত করার যাবতীয় খরচ বহন করবে এবং দল ক্ষমতায় এলে তাদের পুরস্কৃত করা হবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহিরাগতদের ঢাকায় আনা হয়েছে।
×