ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইসিতে আওয়ামী লীগ

নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালনের আহ্বান

প্রকাশিত: ১১:০৩, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালনের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের নিয়ম নীতি মেনে দায়িত্ব পালনের জন্য ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা বলেন বিদেশী পর্যবেক্ষকদের কেউ যাতে কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সীমা লঙ্ঘন না করে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, পর্যবেক্ষকরা যেন পর্যবেক্ষণের আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান মেনে চলেন। কোন বিশেষ দেশের কেউ যেন বেশি মাতব্বরি না করেন। সিটি নির্বাচনের একদিন বাকি থাকতে এইচটিএম ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ও কবিতা খানমসহ ইসির অন্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এইচটি এইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা বিদেশী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিষয়ে ইসির সঙ্গে কথা বলেছেন। পর্যবেক্ষকেরা যেন নিয়মনীতি, বিধিনিষেধে মেনে চলেন। অনেকে অনেক কথা বলেন, যাতে মনে হয় এটি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর কটাক্ষ। আজকের বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নেই। গণতন্ত্র সুসংহত, উন্নত বাংলাদেশ। আমরা কোন উচ্চতায় চলে গেছি সেটা গতকালের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনলেই বোঝা যাবে। আমরা চাই, তারা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক সেটা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোড অব কন্ডাক্ট মেনে। বিদেশী কূটনীতিকদের বিষয়ে যে নিয়মনীতি, সেটি তাদের এদেশীয় কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না। রাষ্ট্রদূতদের অনেক সম্মান করা হয়। কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি যেন কেউ না করেন। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। কমিশন চায় নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়। সবকিছু নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তিনি বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে কোন একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ক্যামেরা নিয়ে বুথের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূতদের যথেষ্ট সম্মান করি। বাংলাদেশের মতো এত আদর-যতœ কেউ করে না। সেটা তো অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আতিথেয়তা মানে এই নয় যে কেউ সেটির সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করবে। তিনি বলেন, তাদের কোন কূটনৈতিক দায়মুক্তিও নেই। কাজেই তাদের বেলায় আইন কানুন যেভাবে আছে সেভাবেই যেন পালন করা হয়। তারা অনেক কিছু করতে পারবে কিংবা যেখানে সেখানে যেতে পারবে তা মনে করার সুযোগ নেই। তিনি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ভোটের দিন বিএনপি কর্মীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানান। বলেন ২০১৪ ও ২০১৫ সালের ‘অগ্নিসন্ত্রাসের হোতাদের’ ঢাকা শহরের অনেক জায়গায় আশ্রয় নেয়ার তথ্য রয়েছে। তাদের ওপরে কড়া নজর রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনভাবেই অবনতি না হয়। এখন যেই সুন্দর পরিবেশ আছে তা বজায় রাখতে হবে। গত কয়েকটি নির্বাচনে মাঝপথে বিএনপির ভোট বর্জনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান বলেন, অতীতে দেখেছি নির্বাচনে যখনই একটু পরাজয়ের ভাব দেখা দেয় তখন তারা বর্জনের কথা বলেছে। এ ধরনের সুযোগ আর দেয়া ঠিক হবে না। প্রতিনিধি দলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।
×