ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনাভাইরাস

চীন থেকে আসা এক ছাত্র কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত: ১১:০২, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

চীন থেকে আসা এক ছাত্র কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শরীরে জ্বর নিয়ে চীন থেকে আসা এক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানারে তার শরীরে জ্বর ধরা পড়ায় তাকে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকটি পরীক্ষা করতে হয়েছে তার। চীন থেকে আগত শিক্ষার্থীর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, শাহজালালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার দেহে জ্বর ধরা পড়ার পর তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব রিপোর্ট পাওয়া গেলে তার সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার মধ্যে নোভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। ওই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আজাদ জানান, ওই শিক্ষার্থী হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, চীনে তাকে কয়েক দফা পরীক্ষা করেও করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। করোনা ভাইরাসের উপসর্গও তার মধ্যে ছিল না। চীন থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরই তিনি দেশে এসেছেন বলে জানান। এরপরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে হাসপাতালে রেখে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানান ডিজি। শাহজালাল বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে সাউদার্ন চায়না এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি চীনের একটি প্রদেশে এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। তবে তিনি চীনের উহান থেকেও আসেননি। শাহজালালে নামার পর থার্মাল স্ক্যানারে তার জ্বর ধরা পড়ে। ওই তরুণের দেহের তাপমাত্রা ছিল ১০৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট। তিন দিন ধরে তার জ্বর। জ্বর থাকায় তাকে বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সকালে তার শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড়পুকুরিয়ায় তিন চীনা কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণে স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে সম্প্রতি চীন থেকে আসা ৩ চীনা কর্মকর্তাকে কয়লা খনির অভ্যন্তরের হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুছ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কয়েকদিন আগে চীন থেকে আসা ৩ চীনা কর্মকর্তাকে কয়লা খনির অভ্যন্তরের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অবগত করেছেন এবং প্রয়োজন হলে এখান থেকে চিকিৎসক প্রেরণ করা হবে। তবে তাদের মধ্যে এখনও করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। যেহেতু করোনা ভাইরাস কারও শরীরে প্রবেশ করলে ১৪ দিন পর লক্ষণ বোঝা যায় তাই আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত তাদের এই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হবে। এজন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। তবে চীনা ৩ কর্মকর্তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি/ এক্সএমসি’র অধীনে চীনের প্রায় ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। তবে তারা সম্পূর্ণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে হওয়ায় তাদের ছুটিসহ যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি/ এক্সএমসি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম বদরুল আলম বলেন, এই খনিতে প্রায় ৫ শতাধিক চীনা নাগরিক কাজ করছেন। তবে তারা ছুটিতে গেলে বা ফিরে আসলে খনি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয় না। তাই বিষয়টি তার জানা নেই।
×