ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কেন্দ্র পাহারায় থাকবে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ১১:০০, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

কেন্দ্র পাহারায় থাকবে আওয়ামী লীগ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে কেন্দ্র পাহারায় থাকবে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি স্বভাবসুলভ যে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে, এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাঠে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা বিভ্রান্ত নাবিকের মতো আচরণ করছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকম-লীর সভাশেষ সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীর কথাবার্তা এবং আচরণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের প্রত্যক্ষ উস্কানি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভোট রক্ষার নামে বিএনপি কেন্দ্রে কেন্দ্রে হট্টগোল করার পাঁয়তারা করছে বলেও দাবি করেন তিনি। ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানব কল্যাণ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, আইন সম্পাদক এ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার, শাহাবউদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, তাদের কাছে খবর আছে যে, বিএনপি ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর বহিরাগতকে ঢাকায় এনে জড়ো করেছে। এদের মধ্যে দাগি আসামি, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা রয়েছে। ঢাকায় নিয়ে এসে প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচ শ’র মতো লোক রাখার পাঁয়তারা করছে। ভোট রক্ষার নামে তাদের এই অভিসন্ধি আমরা জানতে পেরেছি। তারা এই বহিরাগতদের দিয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে হট্টগোল পাকিয়ে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। নির্বাচন বানচালের নীলনক্সা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, এ কারণে আমরা তথ্য পাওয়ার পর, আমরা সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে করে জনগণের ইচ্ছামত, যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরি হয়। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতেও আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারা দিবে। যাতে করে জনগণের ভোট রক্ষার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে পারি। আমরা চাই কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকুক। ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করবে। আমাদেরও দায়িত্ব আছে, জনগণ যেন যাকে খুশি তাকে ভয়ভীতি মুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারে। সে বিষয়ে সাংগঠনিকভাবে আমরাও নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিচ্ছি। দু’পক্ষের এমন বক্তব্য সংঘাতে রূপ নিতে পারে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য, জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য মাঠে থাকব, কারও সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি করার জন্য নেতাকর্মীদের কোন নির্দেশনা দেই নি। আমাদের উদ্দেশ্য জনগণ ভোট দিতে আসবে, ভোটের পরিবেশ যেন বিঘিœত না হয়। আমরা এখানে প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোন রকম সংঘাত-সংঘর্ষে যাব না। ইভিএম-এর মাধ্যমে সরকার কারচুপি করার সূক্ষ্ম পথ বের করেছে বিএনপির এমন অভিযোগের জবাব জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ’আমি মনে করি কারচুপি ঠেকানোর কৌশল হিসেবে, ইভিএম হচ্ছে উত্তম ব্যবস্থা। এটা তারা মনে করতে পারে কারণ, তারা এখনও এনালগে রয়ে গেছে । তারা এখনও ডিজিটালে আসতে পারে নি। তারা আধুনিক প্রযুক্তি পছন্দ করে না। কারণ তারা নিজেরাই সেই অন্ধকারে রয়ে গেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ইলেকশন বলতেই বুঝে কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি। এসবই তাদের আমলের নির্বাচন ছিল। নির্বাচন কারচুপি মুক্ত এটা তারা কখনও চিন্তা করে না। তারা কেন্দ্র দখলের রাজনীতি অতীতে করেছে। কেন্দ্র দখল, জবর দখল এবং ভোট দখলের কোন সুযোগ ইভিএমএ নেই। এখানেই হচ্ছে বিএনপির মূল ভয়ের কারণ। এ কারণেই তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
×