ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর বোর্ড

জেএসসিতে ফেল করা আট পরীক্ষার্থী পেল জিপিএ-৫

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

জেএসসিতে ফেল করা আট পরীক্ষার্থী পেল জিপিএ-৫

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণে ১১২ জন জিপিএ-৫ সহ ১৭৬ জনের ফলাফলে উন্নতি হয়েছে। এরমধ্যে ফেল করা আটজন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। বুধবার রাতে পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর সাড়ে আট হাজারের মতো পরীক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আট হাজার ৭৬৪টি আবেদন করে। যাদের মধ্যে ১৭৬ জনের ফলাফলে উন্নতি হয়েছে। এদের মধ্যে ফেল করা ৬২ জন পরীক্ষার্থী বিভিন্ন গ্রেডে পাস করেছে। এছাড়া ডি গ্রেডে একজন, সি গ্রেডে ২৪ জন, বি গ্রেডে আটজন, এ মাইনাস ৩৫ জন ও এ গ্রেডে ৪৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। আর নতুন করে ‘এ প্লাস’ বা জিপিএ-৫ পাওয়া ১১২ জনের মধ্যে এর আগে এফ গ্রেড পেয়েছিল আটজন, ডি গ্রেড পেয়েছিলো একজন, সি গ্রেড পেয়েছিল ২০ জন, বি গ্রেড পেয়েছিল তিনজন, এ মাইনাস পেয়েছিল ২৫ জন ও এ গ্রেড পেয়েছিল ৪৬ জন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, এবার জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল ভাল হওয়ায় পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন অনেক কম হয়। প্রাপ্ত আবেদনগুলো যথাযথভাবে পুনর্মূল্যায়ন করে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর সারাদেশের সঙ্গে যশোর শিক্ষা বোর্ডের জেএসসির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে দুই লাখ ১২ হাজার ৯৭৬ জন উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল নয় হাজার ৭৫৫ জন। তারও আগে ২ নবেম্বর জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। সেই পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে দুই লাখ ৩৩ হাজার ৮২৯ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। রাজশাহী বোর্ড স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে ৩৭৯ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল করা শিক্ষার্থী পাস করেছেন ৫৪ জন। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১৯ শিক্ষার্থী। এছাড়া ফল পরিবর্তন হয়েছে আরও ২০৬ শিক্ষার্থীর। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করেন। যা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার মোট সাত হাজার ৮৬৫ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মোট নয় হাজার ৩৭৫টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছিল। এর মধ্যে ইংরেজী বিষয়ে ২ হাজার ২৫৭টি, গণিতে ২ হাজার ২৪৭টি, বাংলায় ১ হাজার ২৫২টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ৩৪১টি, বিজ্ঞানে ১ হাজার ১৩০টি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ১ হাজার ৬১৮টি ও ধর্মে (ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং খ্রীস্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) ৫১০টি আবেদন জমা পড়েছিল।
×