ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির এমপি হারুনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা

প্রকাশিত: ১১:১৮, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

বিএনপির এমপি হারুনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করেছেন। নিজ এলাকার হাসপাতালের সমস্যা সমাধান করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করবেন জানিয়ে বিএনপির এই এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভের পর টানা তিন মেয়াদে নিঃসন্দেহে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। এতে কোন সন্দেহ নেই। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে প্রথমেই বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, আমি মনে করি, প্রকৃত বিরোধী দলের সদস্য হচ্ছি আমি। এ সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি তার নির্ধারিত যুবসমাজ সম্পর্কিত সম্পূরক প্রশ্ন না করে তার নির্বাচনী এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের সমস্যা তুলে ধরেন। এ সময় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে সম্পূরক প্রশ্ন করতে বললে এমপি হারুন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করব। এ সময় সংসদ অধিবেশনে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় নিঃসন্দেহে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে, সমৃদ্ধি অর্জন করেছে- এতে কোন সন্দেহ নেই। বৃহত্তর অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দীর্ঘসূত্রতার জন্য আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। মন্ত্রী-এমপিরা প্রোটকল নিয়ে চলাফেরা করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাব- একটি টিম নিয়ে প্রোটকল ছাড়া ঢাকা শহরে একদিন চলাফেরা করেন। দেখুন কী অবস্থায় আমরা আছি, কী অবস্থা চলছে। জবাব দিতে গিয়ে হাস্যোজ্জ্বলকণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা আছে- ধান ভানতে শিবের গীতÑসংসদ সদস্য ধান ভানতে সেই শিবের গীত গেয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করতে গিয়ে যুবসমাজ থেকে স্বাস্থ্যে চলে গেছেন। তবে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। উনি একটা প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। তবে তার প্রশ্ন থেকে আমি বুঝে গেছি, তা হলো উনার এলাকার হাসপাতালে জনবলের অভাব। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলছি এই সমস্যার সমাধান করতে।
×