ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকাকে সুন্দর, সচল ও উন্নত করার পাঁচ রূপরেখা ঘোষণা

প্রকাশিত: ১১:০২, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

ঢাকাকে সুন্দর, সচল ও উন্নত করার পাঁচ রূপরেখা ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাঁচটি রূপরেখায় ঐতিহ্যের ঢাকা শহরকে সুন্দর, সচল এবং আরও উন্নত হিসেবে গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ‘আমাদের ঢাকা, আমাদের ঐতিহ্য’ স্লোগানে জনকল্যাণমুখী ও সুসমন্বিত কর্মকা-ের মাধ্যমে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন ইশতেহারে। যেখানে দায়িত্বগ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার কথাও বলেন তিনি। এছাড়াও ডিএসসিসিকে বাংলাদেশে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম দুর্নীতিমুক্ত সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে চান। পুনরুজ্জীবিত ঢাকা গড়তে সবার কাছে ‘নৌকা’ মার্কায় ভোটও চান ব্যারিস্টার তাপস। বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ছেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে স্মরণ করে ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন করার জন্য আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড ও শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বক্তব্যে শুরুতে তাপস আরও বলেন, এই ঢাকাতে আমি আমার পিতা-মাতাকে হারিয়েছি। এখানেই শৈশব, কিশোর জীবন কাটিয়ে পড়াশুনা করেছি। বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়েছি, বেড়ে উঠেছি। পরে এই ঢাকায় ওয়ারীতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সেবায় নিয়োজিত হয়েছিলাম। ধানম-ি-কলাবাগান যে আসনটি সেখানকার মানুষ তিনবার আমার ওপর আস্থা রেখেছিল। সেবার সুযোগ দিয়েছিল। যেখানে দীর্ঘদিনের অনেক সমস্যা চিহ্নিত করে চেষ্টা করেছি সমাধানের। আজ বৃহৎ পরিসরে সেই ঢাকাবাসীর সেবার লক্ষ্যে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছি। বিভিন্ন জেলার মানুষ আমরা এখানে বসবাস করি এই ঢাকাকে আরও উন্নত, সচল, সুন্দর করতে চাই। ব্যারিস্টার তাপস বলেন, অনেক অবহেলা, গাফিলতিতে ঢাকা অপরিকল্পিত ও দূষণে আক্রান্ত নগরী হয়ে গেছে। এখন ‘ঐতিহ্যবাহী-সুন্দর-সচল-সুশাসিত-উন্নত ঢাকা’র পথে নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে। মেয়র নির্বাচিত হয়ে ঢাকাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন তিনি। দায়িত্বগ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যেই মৌলিক সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করব উল্লেখ করে বলেন, ঢাকাবাসীর চাহিদা বেশি নয়। চার-পাঁচটা মৌলিক সমস্যা সমাধান করলেই তারা সন্তুষ্ট। কিন্তু আমরা অনেক সময় অতিবাহিত করে ফেলেছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ঢাকাবাসীর মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান করব। ৯০ দিনের মধ্যে আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করব, এই ঐতিহ্যের ঢাকাকে কীভাবে আরও সুন্দর করা যায় সে ব্যাপারে। আমি বিশ্বাস করি সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে যদি আমি ২৪ ঘণ্টা কাজ করি তাহলে পরিবর্তন আনতে পারব। ঢাকাবাসীর কাছে সেবাগুলো পৌঁছে দিতে পারব। যদি নির্বাচিত হই তিন বছরের মধ্যে ঢাকাকে পরিবর্তন করতে পারব। নির্বাচনী ইশতেহারে পাঁচটি রূপরেখা নিয়ে কথা বলেন নৌকার প্রার্থী তাপস। এর মধ্যে ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা নামে রূপরেখাগুলো দেন। ঐতিহ্যের ঢাকা ফজলে নূর তাপস বলেন, চারশ’ বছরের পুরনো এ নগরের রয়েছে নিজস্ব ইতিহাসের উজ্জ্বল ছবি। ঐতিহ্যের গভীর শিকড় ও প্রতœতাত্ত্বিক গুরুত্ব। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ অনন্য; ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নানা উৎসবসহ রয়েছে স্বকীয় সাংস্কৃতিক ধারা। তিনি বলেন, মহাপরিকল্পনা ও সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করে ঢাকাকে তার স্বকীয় গৌরবে সাজিয়ে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরব। তাপস আরও বলেন, ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণে সমন্বিত উদ্যোগে জাদুঘর ও আর্ট গ্যালারি নির্মাণ করা হবে। পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাকে ‘ঐতিহ্য প্রাঙ্গণ’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সুন্দর ঢাকা বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা দুই নদীর অববাহিকায় পত্তন হওয়া ‘বিরল শহর’ ঢাকার সৌন্দর্যবর্ধনের পরিকল্পনা তুলে ধরে তাপস বলেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার পাড় ঘিরে বনায়ন ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধ করাসহ শরীর ও চিত্তবিনোদনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, শরীর চর্চাকেন্দ্র এবং নারী-শিশু ও প্রবীণদের জন্য হাঁটার উন্মুক্ত স্থান, আধুনিক মানের কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, নগরীতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উদ্যান নির্মাণ, বাড়িতে ছাদবাগানে উৎসাহ দান ও পরিবেশবান্ধব স্থাপনা বাড়ানো, সাধারণ ও ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের ব্যবস্থার ও বস্তিবাসীদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হবে। জলাধার সংরক্ষণে খালগুলো থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও খনন, প্রয়োজনীয়সংখ্যক নর্দমা নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও সড়কের উন্মুক্ত আবর্জনার স্তূপ প্রতিদিন অপসারণের প্রতিশ্রুতির কথাও রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় সবুজায়নসহ পরিকল্পিত সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। সচল ঢাকা যানজটের কারণে রাস্তায় চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী বলেন, সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো ও ফিরে আসতে নিরন্তর সংগ্রাম করতে হয়। বিশেষ করে কর্মজীবী নারীদের বিড়ম্বনা অপরিসীম। তাই গণপরিবহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিছু রাস্তায় দ্রুত গতির যানবাহন, কিছু রাস্তায় ধীরগতির যানবাহন, আবার কিছু রাস্তায় শুধু মানুষের হাঁটার ব্যবস্থা করব। রাস্তা পারাপারের সুব্যবস্থাসহ নগর ঘুরে দেখার জন্য থাকবে ‘হপ অন হপ অফ’ বাস সেবা। বিশে^র অনেক দেশেই এমন সার্ভিস আছে উল্লেখ করে মেয়র প্রার্থী তাপস বলেন, যে কোন যাতে সহজে আরামে শহর ঘুরে দেখতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করব। এছাড়াও নদীর পাড়ে থাকবে সুপ্রশস্ত রাস্তা, যেখানে হেঁটে চলা যাবে, চালানো যাবে সাইকেল, চলবে রিক্সা ও ঘোড়ার গাড়ি। জনসাধারণের জন্য সড়কের পাশে উন্নত ওয়াশ রুম নির্মাণ এবং হকারদের পুনর্বাসন করে পর্যায়ক্রমে ফুটপাত দখলমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন দক্ষিণের নৌকার প্রার্থী। এভাবেই ঢাকাকে সচল করা হবে বলেও জানান। সুশাসিত ঢাকা সুশাসিত ঢাকা গড়ার পরিকল্পনা তুলে ধরে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, এলাকাভিত্তিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মাদক নির্মূল, জুয়া, কিশোর অপরাধসহ নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়জনিত বিভিন্ন অপরাধ রোধ সংশোধন কেন্দ্র নির্মাণ করব। তিনি আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হবে বাংলাদেশে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম দুর্নীতি মুক্ত সংস্থা। বছরের ৩৬৫ দিন, সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য খোলা থাকবে। গৃহ কর না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী বলেন, এটি বাড়বে না আলোচনা করে দেখব কমানোর সুযোগ আছে কিনা। এছাড়াও হতদরিদ্রদের শিক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা; অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা, বিনোদন ও চিকিৎসা সেবায় পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং স্থাপন করা হবে ডে-কেয়ার সেন্টার। মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস নিয়ে বলেন, এবার ডেঙ্গুর বিষয়টি আমাদের ঢাকাবাসীকে অনেক ভোগিয়েছে। অনেকেই মারাও গেছেন। তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলতে চাই, আমরা ক্রাশ প্রোগ্রাম নেব আর এমনভাবে কাজ করতে চাই যাতে ভবিষ্যতে ডেঙ্গু আর না আসে আমর এই শহরের মানুষের ভোগান্তি না হয়। কোথাও আগুন লাগলে দ্রুত করণীয়ও হিসেবে কর্মসূচী রয়েছে ইশতেহারে। তাপস বলেন, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে প্রয়োজনে নিজস্ব দমকল বাহিনী গঠন ও ফায়ার হাইড্র্যান্ট নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পাড়া-মহল্লায় অগ্নিনির্বাপন গাড়ি প্রবেশের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। নগরীর উন্নয়নে একেক সময় বিভিন্ন সংস্থার সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করার পরিকল্পনা তুলে ধরে তাপস বলেন, বছরের একটি সময় নির্দিষ্ট করে ঢাকার উন্নয়ন ও সেবার সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোর কাছে ‘বার্ষিক কাজের চাহিদাপত্র’ চাওয়া হবে। কর্পোরেশন কোন রাস্তা নির্মাণের পরে অন্তত তিন বছরের মধ্যে অন্য কোে সংস্থা ওই রাস্তা খনন করতে পারবে না। আইন, বিধি ও নীতিমালার কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ঢাকার উন্নয়ন ও সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের নিকট সমন্বিতভাবে দায়বদ্ধ করা হবে। সহজে ও দ্রুত নাগরিক সেবা দিতে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস ডেস্ক’ স্থাপনের কথা জানিয়ে নৌকার মেয়র প্রার্থী বলেন, সপ্তাহে একদিন নগরবাসী মেয়রের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাবেন। উন্নত ঢাকা আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর আলোকে উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন দলের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সুখী-সমৃদ্ধি উন্নত বাংলাদেশ এর ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে উন্নত রাজধানী তথা উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার বিকল্প নাই। অনেক সময় হয়তো পেরিয়ে গেছে, কিন্তু সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ৩০ বছরমেয়াদী মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করে তার আওতায় পাঁচ বছরমেয়াদী নানা প্রকল্প হাতে নিয়ে ইমারত নির্মাণ, ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভূমি অধিগ্রহণ ও নগরীর উন্নতিসাধন করা হবে। এছাড়াও নৌকার প্রার্থী আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণে যুক্ত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে ভালভাবে প্রত্যেকটি সড়ক ও নর্দমার উন্নয়ন করা হবে, যাতে অন্তত ১০ বছর স্থায়িত্ব থাকে। জনসংখ্যার চাপ বিবেচনায় নিয়ে জমির যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত; জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য সুব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হোস্টেল গড়ে তোলা হবে। সকল নাগরিক সেবাকে ডিজিটালাইজেশন করার পরিকল্পনা তুলে ধরে তাপস বলেন, বাণিজ্য লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধনপত্র, প্রত্যয়নপত্র, গৃহকর, পৌরকর, অন্যান্য কর তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার আওতায় আনা হবে। ঘরে বসেই কর এবং নির্ধারিত ক্ষেত্রে ফি পরিশোধ করা যাবে। নাগরিক সেবায় ২৪ ঘণ্টা হেল্প লাইন, তথ্যসমৃদ্ধ নগর অ্যাপ, ই-লাইব্রেরি, নগর ভবনে নিয়ন্ত্রণকক্ষ রেখে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ফ্রি ওয়াইফাই সেবা দেওয়ার কথাও জানান তাপস। নিজের নির্বাচনী ইশতেহার তরুণ প্রজন্মকে উৎসর্গ করে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা, আমাদের ঐতিহ্যÑ এই স্লোগানে জনকল্যাণমুখী ও সুসমন্বিত কর্মকা-ের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে উন্নত ঢাকা হিসাবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। এই ঢাকা আমাদের সবার প্রাণের ঢাকা। আমি আশা করি, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নত ঢাকা গড়ে তুলতে সুযোগ দেবেন। পাঁচ রূপরেখা ছাড়া ইশতেহারের অধিকাংশজুড়ে রয়েছে দক্ষিণ সিটিতে গত ১১ বছরের চলমান উন্নয়ন কর্মকা-ের বিবরণও তুলে ধরেন। নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম এমপি, রিয়াজুল কবির কাউসার, গোলাম রাব্বানী চিনু, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
×