ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ২৯ জানুয়ারি ॥ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন ও হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদ- ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামির নাম আব্দুল কাদের। সে খোকসা উপজেলার দেবীনগর গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে স্বামী আব্দুল কাদের যৌতুকের দাবিতে নিজ বাড়িতে স্ত্রী মিলি খাতুনকে (২০) শ^াসরোধে হত্যা করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বারান্দায় লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মিলি খাতুনের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে খোকসা থানায় আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে যৌতুক নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। রাজবাড়ীতে ৭ জনের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা রাজবাড়ী থেকে জানান, পাংশায় চাঞ্চল্যকর পুলিশের সিআইডির এসআই আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার অভিযোগে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ করিম বুধবার দুপুরে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদ-ের নির্দেশ দেন। এই মামলায় অপর ৯ জনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়। দ-প্রাপ্তরা হলো জালালউদ্দিন, আকমল শেখ, রবিউল ইসলাম, কুদ্দুস, বুলু, তপন ও ডালিম। এরা সবাই কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। আদালত সূত্রে জানা যায়, পাংশা থানায় ২০১১ সালের ১১ নবেম্বর উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নে পাতুরিয়া গ্রামে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিআইডির এসআই আব্দুর রাজ্জাক তার নিজ বাড়িতে এলে জমিজমার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হলে তার স্ত্রী রোকেয়া রাজ্জাক একই দিন ১৬ জনকে আসামি করে পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে এ রায় দেয়। কিশোরগঞ্জে দুই ভাই নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ হালগড়া গ্রামে বাড়ির সীমানার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একটি হত্যা মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে অর্থদ- দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর চার আসামিকে এক বছরের কারাদ- ও প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন।যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলেন হালগড়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আবু হানিফ ও মানিক মিয়া। এক বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন হাফিজ উদ্দিনের স্ত্রী ফরিদা খাতুন, ছেলে আবু সিদ্দিক ও আব্দুস সাত্তার এবং ছমেদ মুন্সীর ছেলে হোসেন আলী মুন্সী। উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ উপজেলার হালগড়া গ্রামের মোঃ আঃ হেলিমের সঙ্গে বাড়ির সীমানা সংক্রান্তবিরোধ ছিল তার চাচাত ভাই হাফিজ উদ্দিনের। ২০১০ সালের ১০ জুন সকালে সীমানার তিনটি রেন্ট্রি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আঃ হেলিমের বড় ভাই সাফির উদ্দিনকে শাবল দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে ঢাকায় নেয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। খাগড়াছড়িতে যুবক পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি থেকে জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় বেলাল হোসেন (৩১) নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বুধবার খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ রেজা মোঃ আলমগীর হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বেলাল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় ভিকটিমের। তারপর বেলাল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ভিকটিমের তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। কিন্তু একটি পর্যায় ভিকটিমকে বেলাল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৬ জুন ভিকটিম মাটিরাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
×