ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরিষ্কার হয়ে উঠছে মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের স্বপ্ন

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

পরিষ্কার হয়ে উঠছে মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের স্বপ্ন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মহেশখালীতে বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য চলছে চ্যানেল আর ব্রেকওয়াটার তৈরির কাজ। যাতে ঘোলা পানি সরে গিয়ে দৃশ্যমান হয় নীলজল। সেখানেই পরিষ্কার হয়ে উঠছে মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের স্বপ্ন। এজন্য জাপানের সঙ্গে ঋণচুক্তি করা আছে। সরকারের অনুমোদন পেলেই শুরু হবে ড্রয়িং-ডিজাইনের কাজ। দূর থেকে ঘোলা আর নীল জলের যে মিতালী চোখে পড়ে তীর ঘেঁষতেই তা রূপ নেয় কেবলই নীলে। এ চিত্র কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলের। যেখানে হবে একটি বন্দর। বিশেষ ব্যবস্থায় সাগরে বাঁধ বা ব্রেকওয়াটার তৈরির পাশাপাশি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেজারে মাটি খননের কারণে স্বচ্ছ পানি আঁচড়ে পড়ছে কূলে। তাতেই স্পষ্ট বন্দর নির্মাণের স্বপ্ন। কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য ১৬ মিটার গভীর আর সাড়ে ৩শ’ মিটার প্রস্থের যে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল তৈরি হচ্ছে, সে সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই হবে বন্দর। যেখানে প্রথম পর্যায়ে বেসিন বানিয়ে ইয়ার্ডসহ ২টি কন্টেনার আর মাল্টিপার্পাস টার্মিনাল তৈরি করা হবে। মাতারবাড়ি বন্দরের প্রকল্প পরিচালক জাফর আলম বলেন, সময় আর ব্যয় সাশ্রয়ে সর্বাধুনিক স্টিল স্ট্রাস পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হবে টার্মিনাল। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এমন একটি বন্দর নির্মাণে কোন বাধা নেই। মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এজন্য জাইকার সঙ্গে ২৬শ’ ৫৫ মিলিয়ন ইয়েনের ঋণচুক্তিও হয়েছে ইতোমধ্যে।
×