ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আর্থিক প্রতিবেদনের চাপে শেয়ারবাজারে দরপতন

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

আর্থিক প্রতিবেদনের চাপে শেয়ারবাজারে দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রবিবার উত্থানের পর সোমবার পতন এবং মঙ্গলবার উত্থান হলেও বুধবার সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস আবার পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এ দিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। আর্থিক প্রতিবেদন ঘোষণার মনস্তাত্বিক চাপে কমেছে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েকদিন ধরে শেয়ারবাজারে উর্ধগতির কারণে বেশ কিছু কোম্পানি দর আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে দ্রুত মুনাফার কারণে বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। অন্যদিকে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে জুন ক্লোজিংয়ের কোম্পানিগুলোর অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। যার কারণে যেসব কোম্পানির মুনাফা আগের তুলনায় ভাল এসেছে সেগুলো ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। লোকসানের কোম্পানিগুলোর দর কমছে। সর্বোপরি আগামী সপ্তাহ নাগাদ সব কোম্পানির মুনাফা জানা গেছে বিনিয়োগকারীরা নির্ভয়ে শেয়ার কিনতে পারবেন। মূলত আর্থিক প্রতিবেদন পুরোপুরি না আসার কারণেই কিছুটা অস্বস্তি শেয়ারবাজারে রয়েছে, যেটির প্রভাব সার্বিক লেনদেন ও কোম্পানির দরে প্রভাব ফেলছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। সকালে উর্ধগতি দিয়ে শুরুর পর ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৮২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৯, ১ হাজার ৫২৬ এবং ৯১১ পয়েন্ট। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৩৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ২৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৬৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৪টির বা ৩২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৮০টির বা ৫১ শতাংশের এবং ৬১টি বা ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বিবিএস কেবলসের ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকার এবং ৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে এসকে ট্রিমস। ডিএসইর সার্বিক লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে : ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, এডিএন টেলিকম, গ্রামীণফোন, ভিএফএস থ্রেড ডাইং এবং স্কয়ার ফার্মা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৬৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ১০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দর। সিএসইতে ৩৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
×