ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

থেমে গেল ওনস জাবিরের রূপকথা

প্রকাশিত: ১২:০১, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

থেমে গেল ওনস জাবিরের রূপকথা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত আসরের ফাইনালে খেলেছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের সুন্দরী পেত্রা কেভিতোভা। কিন্তু এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিসের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে এই সুন্দরীতমাকে। মঙ্গলবার মেলবোর্ন পার্কে প্রমীলা এককের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ান তারকা এ্যাশলে বার্টির কাছে হেরেছেন কেভিতোভা। সুন্দরী বার্টি ছাড়াও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া কেনিন। কোয়ার্টারে সপ্তম বাছাই পেত্রা কেভিতোভাকে সরাসরি ৭-৬ (৮-৬), ৬-২ সেটে হারিয়েছেন বার্টি। কেনিনের জয়টা এসেছে সাড়া জাগানো আরব কন্যা ওনস জাবিরের বিরুদ্ধে। সোফিয়া জিতেছেন সরাসরি ৬-৪, ৬-৪ সেটে। এর ফলে বড় কোন আসরে প্রথমবারের মতো সেরা চারে খেলার সুযোগ পেয়েছেন মার্কিন কন্যা। ২০১৯ সালে ফরাসী ওপেন জিতে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান টেনিস সুন্দরী এ্যাশলে বার্টি। এবার দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের স্বাদ নেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি। চলমান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে শেষ চারে পা রেখে সে ইঙ্গিতই দিয়েছেন প্রমীলা টেনিসের শীর্ষ এই তারকা। নারী এককের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে বার্টির সামনে দাঁড়াতেই পারেননি কেভিতোভা। প্রথম সেটে দারুণ লড়াইয়ের পরও টাইব্রেকারে হেরে যান চেক কন্যা। আর দ্বিতীয় সেটে অস্ট্রেলিয়ান তারকার সামনে একেবারে পাত্তাই পাননি কেভিতোভা। ফলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় গ্র্যান্ডসøাম জয় থেকে দুই ম্যাচ দূরে থাকতেই তল্পিতল্পা গোছাতে হয়েছে তাকে। কেভিতোভার দুটি গ্র্যান্ডসøামই উইম্বলডনের। জিতেছিলেন ২০১১ ও ২০১৪ সালে। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত বার্টি বলেন, এটা অবিশ্বাস্য একটা জয়। আমি খুব খুশি। কেভিতোভাকে হারানো মোটেও সহজ ছিল না। আমি জানতাম সে কঠিন প্রতিপক্ষ। এ জন্য নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আর কেভিতোভা বলেন, আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। বার্টিকে অভিনন্দন। আরেক ম্যাচে রূপকথার পথচলা থেমে গেছে তিউনিসিয়ার মেয়ে ওনস জাবিরের। প্রথম আরব নারী হিসেবে কোন গ্র্যান্ডসøামের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। সেমিতে ওঠার ম্যাচে তিনি হেরেছেন সোফিয়ার কাছে। এরপরও শেষ আটের সাফল্যে জাবিরকে প্রশংসায় ভাসিয়ে চলেছেন সবাই। স্বয়ং তার দেশ তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট ফোন করেছেন জাবিরকে। দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তির কাছে কিছু চাইবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে চমকে দিয়েছেন জাবির। বলেছেন, সম্ভব বলে কর কমানোর কথা বলবেন প্রেসিডেন্টকে। বিশ্বের ৭৮ নম্বর খেলোয়াড় জাবির এর আগে কোন গ্র্যান্ডসøামে চতুর্থ রাউন্ডেও খেলেননি। এবারই প্রথমবার তৃতীয় রাউন্ডের বাধা পেরিয়েছেন। সেই ধাপ পার করে ২৫ বছর বয়সী এই আগামীর তারকা কোয়ার্টার ফাইনালেও নাম লেখান। গ্র্যান্ডসøামের ইতিহাসে তিউনিসিয়া তো বটেই, আরবের প্রথম নারী হিসেবে শেষ আটে উঠেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিউনিসিয়া থেকে আমাকে অনেকেই ফোন করেছে। আমি তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাকে ফোন করেছিলেন তিনি এবং শুভ কামনা জানিয়েছেন। তার এমন আচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। অবশ্য প্রেসিডেন্টের শুভ কামনাতেও লাভ হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া কেনিনের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছেন আসর থেকে। তাতে অবশ্য প্রশংসার স্রোত থামছে না। জাবির বলেন, দেশের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গেও কথা হয়েছে। সবাই যেন পাগল হয়ে গেছে। অনেকেই আমাকে ফোন করেছে এবং শুভ কামনা জানিয়েছে। হারের পরও আমাকে খুব ভাল ভাল বার্তা পাঠাচ্ছে, বলছে তারা কত গর্বিত।
×